বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও বিএনপি করায় চাকরি হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ৬, ২০২২, ০২:১৫ এএম

বিসিএসে উত্তীর্ণ হলেও বিএনপি করায় চাকরি হচ্ছে না

পাবলিক সার্ভিস কমিশনে বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বিএনপি করে দেখে চাকরি হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

মঙ্গলবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বৈষম্য নিরোধে নতুন আইন তোলার বিরোধিতা করে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 হারুনুর রশীদ বলেন, “ বৈষম্য বিরোধী বিলের ‘কী প্রয়োজন পড়েছে তা বুঝতে পারছি না।পাবলিক সার্ভিস কমিশনে বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বিএনপি করে দেখে চাকরি হচ্ছে না। এখানে রাষ্ট্র বৈষম্য করছে। রাষ্ট্র বৈষম্য করলে কী হবে সেটি বিলে বলা নেই।”

জাতীয় সংসদে বৈষম্য বিরোধী বিল-২০২২ উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর রশিদ বলেন, “ধর্মীয় উপাসনালয় পাবলিক প্লেস নয়। মসজিদে ভিন্ন ধর্মের কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। বিলে বলা হয়েছে ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করতে না দিলে বৈষম্য হবে- এর ব্যাখ্যা চাই।”

 শিশুর পরিচয় থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পিতৃ পরিচয়ে সমস্যা থাকলে মাতৃ পরিচয় থাকতে হবে। নানী-নানা তো থাকবে। এই বিধান থাকলে ব্যাভিচারকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে।”

দেশে আইনের শাসন নেই;গুম, খুনের কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে-অভিযোগ করে বিএনপির এই সাংসদ আরও বলেন, “পাবলিক সার্ভিস কমিশনে বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বিএনপি করে দেখে চাকরি হচ্ছে না। এখানে রাষ্ট্র বৈষম্য করছে, রাষ্ট্র বৈষম্য করলে কী হবে সেটি বিলে বলা নেই।’

বিলে বলা হয়েছে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা করা যাবে না-উল্লেখ করে হারুনুর রশীদ বলেন, “এইসব অনুষ্ঠানের নামে যদি বেলেল্লাপনা হয় তবে কী হবে? কিছুদিন আগে দেখলাম তাপস নামে একজনের মেয়ের বিয়েতে পর্ন তারকা আসলো। অনুষ্ঠান করে চলে গেল। তথ্যমন্ত্রী বললেন, তার আসার অনুমতি নেই। কিন্তু পর্ন তারকা এসে অনুষ্ঠান করে চলে গেলো।”

পরে হারুনুর রশীদের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “মানবাধিকার নিয়ে তিনি (হারুন) যে উদ্বিগ্ন তা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। এমন একটি দলের সদস্য যে দলটি ২১ আগস্ট ২০০৪ সালে অন্য দলের সব নেতা-নেত্রীদের এবং জাতির পিতার কন্যাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। এটেম্প নিয়ে প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিল। আল্লাহ মালিক। উনি বেঁচে গেছেন। সেই দলের একজন সংসদ সদস্য আমাকে মানবাধিকার শেখাচ্ছেন।”

Link copied!