মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন প্রকল্পের সামগ্রিক সমন্বয়হীনতায় জলাবদ্ধতা: তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ১, ২০২১, ০১:১০ এএম

মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন প্রকল্পের সামগ্রিক সমন্বয়হীনতায় জলাবদ্ধতা: তাপস

চলমান মেট্রোরেল প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এবং সমন্বয়হীনতা ও সামগ্রিকভাবে চিন্তা না করার কারণেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে গুচ্ছাকারে জলাবদ্ধতার সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (৩০ জুন) সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নগরীর ৩৯ নং ওয়ার্ডের টিকাটুলী খেলার মাঠের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মেয়র বলেন, আপনারা আমার সাথে ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং নিশ্চয় অনুমান করতে পারছেন, উন্মুক্ত জায়গায় বর্জ্য ফেলাতে এবং যত্রতত্র নির্মাণ সামগ্রী রাখাতে বা প্লাস্টিক জাতীয় বোতলগুলো ফেলাতে, সেগুলো গিয়ে নর্দমার মুখগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে এবং ভেতরে বদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা দেখছি, সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয়নি।

নগরবাসী জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রমের সুফল আগামী বছর থেকে পাওয়া শুরু করবে জানিয়ে তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। এ বছর সে কাজের সুফল না পেলেও আগামী বছরগুলোতে নগরবাসী তা পাওয়া শুরু করবে। অবকাঠামো উন্নয়নে যে কাজগুলো হাতে নেওয়া হয়েছে, তা শেষ হলেই নগরবাসী ক্রমান্বয়ে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্তি লাভ করবে।

মতিঝিলসহ আরও অনেক এলাকায় যে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে তা নিরসনে আর কি কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা প্রকল্পগুলোর কর্তৃপক্ষদের সাথে কথা বলছি, দেন-দরবার করছি। আসলে ঢাকা শহরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে, সামগ্রিকতা চিন্তা না করে প্রকল্প নির্ভর কাজ করার কারণে সমস্যাগুলো রয়ে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে সমন্বয় করে কাজ করা যায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যার সমাধান করা যায়। এ ছাড়া ফকিরাপুলের টয়েনবি সার্কুলার রোডে জলাবদ্ধতা নিরসনেও কাজ চলছে। এগুলো শেষ হলে জলাবদ্ধতার প্রকোপ থাকবে না।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিল ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলরবৃন্দ।

Link copied!