শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড ঠাণ্ডা মাথার নৃশংস হত্যাকাণ্ড: নৌ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ১৮, ২০২১, ১১:২৪ পিএম

শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড ঠাণ্ডা মাথার নৃশংস হত্যাকাণ্ড: নৌ প্রতিমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ‘শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড ঠাণ্ডা মাথার নৃশংস হত্যাকাণ্ড’ মন্তব্য করে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘পৃথিবীতে এই রকম ঠাণ্ডা মাথার নৃশংস হত্যাকাণ্ড আর দ্বিতীয়টি সংঘটিত হয়নি। এই হত্যাকাণ্ড একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’

সোমবার (১৮ই অক্টোবর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কার্যালয়ে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষ্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিলো ৭১ এর বিজয়ের স্বাধকে ধূলিস্বাদ করে দেয়া’ মন্তব্য করে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ রাসেলও তাদের ভয়ের কারণ ছিলো। তাই তাকেও তারা হত্যা করে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু হত্যাকাণ্ড চালিয়ে খুনিরা থেমে থাকেনি। তারপর তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে কলঙ্কিত করার জন্য এমন কোন কাজ নেই যা তারা করেনি। ৭৫ পরবর্তী সরকারের লক্ষ্য দেশ পরিচালনা ছিলো না, ছিলো কিভাবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে খাটো করা যায়। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত খুনিদের বিভিন্ন ভাবে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আইন তৈরি করেছিলো সেই সময়ের সরকার। বঙ্গবন্ধু খুনিদের পাশাপাশি ৭১ এর রাজাকারদেরকেও বিভিন্নভাবে নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রত্যেকটা লোক মেধাবী ছিলো জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারা চাইলে ক্ষমতার স্বাধ গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের কেউই কখনো ক্ষমতার স্বাধ নেননি। তারা সবসময় সাধারণ মানুষের মতো জীবন-যাপন করেছেন।’বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ বাসস্থানে পরিনত করতে পারলেই রাসেল দিবসের স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ যখন রাসেলের মতো শিশুদের নিরাপদ দেশে পরিনত হতে যাচ্ছে তখন এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার হামলা চালিয়ে আবার পেছনের দিকে টেনে ধরার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘এই দেশের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান সকল ধর্মের মানুষ একসাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। কখনো কি নির্ণয় করা গেছে কোন ধর্মের কতজন মানুষ মারা গেছে? সম্মিলিতভাবে এই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে এবং সবার রক্তের বিনিময় এই বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।’

সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশের সংবিধান ছিলো অসাম্প্রদায়িক সংবিধান। আজকে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ভাঙ্গা হচ্ছে। এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা নিয়ে কথা হচ্ছে কিন্তু আমাদের সংবিধানকে জিয়া-এরশাদ ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে এটা নিয়ে কেউ কথা বলছে না।  এই সংবিধানকে তারা খুনিদের আশ্রয়ের সংবিধান বানিয়েছে।

Link copied!