তাসখন্দের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ১৪, ২০২১, ০৫:০০ পিএম

তাসখন্দের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তান গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন।বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে রাজধানী তাসখন্দের উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা ছাড়েন বলে জানা গেছে।

উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়োয়েভের উদ্যোগে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া:আঞ্চলিক যোগাযোগ-চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সম্মেলনের পাশাপাশি উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুলা আমদানি এবং  ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি বিমান চলাচলসহ বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ঢ সূত্রে জানা গেছে।

মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিবহন ও লজিস্টিক, জ্বালানি, বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো নিয়ে পারস্পরিক স্বার্থে বহুপাক্ষিক আলোচনার জন্য রাজনৈতিক ও কৌশলগত মডেল তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই উজবেকিস্তান সরকার এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ এরই মধ্যে ‘যোগাযোগ সংযোগ নেতা’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় ঢাকা আঞ্চলিক যোগাযোগ ত্বরান্বিত করার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরালো বক্তব্য রাখবেন।

এছাড়া সম্মেলন চলার ফাঁকে সাইড বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রাশিয়া, ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রেীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন।  

এদিকে, তাসখন্দ যাওয়ার আগে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমে বলেন, ‘প্রায় ৪০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সরকার প্রধানদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলনের ফাঁকে তিনি রাশিয়া, ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা এই বৈঠকের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন।’ বৈঠকে মূলত রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলেও তিনি জানান।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী  সের্গেই লাভরভের  সঙ্গে সাইড বৈঠকে সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের মানবাধিকার লংঘনের ব্যাপারে জাতিসংঘের গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়টি তুলে ধরা হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রধান মস্কো সফর করেছেন এবং অস্ত্রচুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। একারণে আমি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা বিষয়ে ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা সংকটের বর্তমান পরিস্থিতি এবং পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘেনের ব্যোপারে জাতিসংঘের গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিবরণ তুলে ধরবো।’

Link copied!