স্বস্তি নেই বাজারে, রোজার আগে আরেক দফা বাড়ল নিত্যপণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ২, ২০২২, ০৬:১১ এএম

স্বস্তি নেই বাজারে, রোজার আগে আরেক দফা বাড়ল নিত্যপণ্যের দাম

এই বছরের শুরু থেকেই দেশের নিত্যপণ্যের বাজার বেশ টালমাটাল। শীতেও কমেনি সবজির দাম, মাছ-মাংসের দামেও নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের। গেল একমাসে কিছু কিছু পণ্যের অবিশ্বাস্য রকমের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমছে না কোনো পণ্যের দামই। রোজার আগে আরেকধাপ বাড়ল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।

আর একদিন বাদেই রোজার শুরু, তাই মাংসের দাম দিয়েই বাজার দরের ফিরিস্তি শুরু করা যাক। আজকের বাজারে হাড়সহ গরুর মাংসের দাম ৭০০ টাকা কেজি। মার্চের শুরুতেও ভোজনরসিকদের প্রিয় এই লাল মাংসের কেজি ছিল ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। আমিষের বড় উৎস হওয়ায় বাজারে এই মাংসের চাহিদা ব্যাপক। কিন্তু দামের কারণে ক্রেতারা এই মাংস কিনতেই পারছেন না! প্রথম রোজার সেহরির খাওয়ায় তাই বেশিরভাগ মানুষের পাতেই জুটবে না গরুর মাংসের ঝোল।

মুরগির বাজার নিয়ে আলাপ করা যাক। দু’পেয়ে এই প্রাণীটির মাংসেরও দারুণ চাহিদা বাজারে। এই কারণে এর দাম সুযোগ পেলেই বাড়িয়ে দেয় দোকানিরা। দাম বাড়লে আবার কমেও নিয়মিত। তবে এবার হয়েছে ভিন্ন কাজ। দাম বাড়ার পর কমার আর কোনো নাম নেই। বরং দোকানিরা বলছেন, মোরগের মাংসের দাম আরও বাড়তে পারে।

বাজারে আজকে বয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি কক ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, দেশি মুরগি আকার ভেদে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকা থেকে হাজার টাকা কেজি দরে।

রাজধানীর নিউমার্কেটে কাঁচা বাজারে আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি করছেন দোকানিরা। সালাদের শশার দাম দ্বিগুণ হয়ে ৬০ টাকা কেজি, গাঁজর ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা কেজি, শাকের আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস বিক্রি করা হচ্ছে। সজনে ডাঁটার দাম ১০০ টাকা করে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

মাছের বাজারেও আগুন। আকারভেদে রুই ও কাতলা ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি, চিংড়ি আকারভেদে ৫০০ থেকে ১৩০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাস, ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, দেশি শোল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, টেংড়া মাছ ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, আইড় ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও আকার ভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১৬ টাকা কেজি।

মসলার মধ্যে পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। দেশি আদা ও রসুন ৬০ টাকা ও চায়না রসুনের কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।

ভোজ্য তেলের মধ্যে বোতলের সয়াবিন এক লিটার তেল ১৫৮ টাকা, ৫ লিটার ৭৫০ থেকে ৭৬০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। খোলা সরিষার দাম ২৫০ টাকা লিটার। বোতলের সরিষা আরেকটু বেশি। এছাড়াও ইফতারের ছোলার কেজি ৭৫ টাকা, মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২৫ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা। চিনি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

Link copied!