সৌরজগতের কক্ষপথে ক্রমাগত আবর্তনের ফলে পৃথিবীতে দিন-রাত্রি সংঘঠিত হয়। সভ্যতার বিবর্তনে অন্যতম আবিষ্কার হলো ঘড়ি। যখন ঘড়ি ছিল না তখন মানুষ সূর্যের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে সকাল, দুপুর বা সন্ধ্যার হিসেব করত। আর রাতের সময় বুঝত চাঁদ-তারার সাহায্যে। এরপর ঘড়ি আবিষ্কার করা হলে সময় নির্ধারণ অনেক সহজ হয়ে যায়।
ঘড়ির কাঁটায় ২৪ ঘণ্টা সময় ধরে ১২ ঘণ্টা করে দু’টি ভাগ করে আমরা এম ও পিএম লিখি। দিন-রাত- কিংবা সকাল-দুপুর নির্ধারণে যেটা আমাদের সাহায্য করে।
এএম আর পিএম এর বিষয়টি জানলেও, অনেকে জানেন না এটি দ্বারা কী বোঝানো হয়। এর ফুলফর্মও অনেকের অজানা। আবার কেউ কেউ AM ও PM এর ব্যবহার নিয়েও বিভ্রান্তিতে পড়েন।
সূর্য যখন আমাদের মাথার ওপর অবস্থান করে তখন আমরা উত্তর থেকে দক্ষিণে একটি কাল্পনিক রেখা টানতে পারি। এই রেখাকে আমরা বলি মধ্যাহ্নকালীন (meridian)। যখন সূর্য এই রেখার পূর্ব দিকে থাকে তখন আমরা সে সময়টাকে প্রাতঃকালীন সময় বলি।
সূর্য এই মধ্যাহ্নকালীন সময় অতিক্রম করলে তখন বলা হয় অপরাহ্ন। মধ্যাহ্নকে ল্যাটিন ভাষায় বলা হয় মেরিডিস। ইংরেজি শব্দ মেরিডিয়ান এসেছে এই মেরিডিস থেকে। তাই এ.এম (am) বলতে বোঝায় পূর্ব-মধ্যাহ্ন (ante-meridian)। আর অপরাহ্ন বোঝাতে উত্তর-মধ্যাহ্ন (post-meridian) লেখা হয়।
AM এবং PM এর মধ্যে পার্থক্য থাকে দিনে ২৪ ঘন্টা। কিন্তু ঘড়িতে আছে মাত্র ১২টি সংখ্যা। অতএব, একই সময়ের সংখ্যা দিনে দুবার ঘড়িতে প্রদর্শিত হয়। উদাহরণস্বরূপ- সকাল ৬ এএম মানে ভোর এবং ৬ পিএম মানে বিকেল; ১ এএম মানে মধ্যরাতের এক ঘণ্টা পরের সময়, রাত ১১ পিএম মানে মধ্যরাতের এক ঘণ্টা আগের সময়।