ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
ছবি: ডিএমপি মিডিয়া সেল
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর বেলা সোয়া ১১টার দিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নোয়াখালী, রংপুর, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ভোলা ও রাজশাহীর বাসিন্দারা রয়েছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, নোয়াখালীর আব্দুর রহমান (৩০), রংপুরের মো: জান্নাতুল নাঈম (২১), চাঁদপুরের মো. ফয়সাল আহমেদ (২৪), শরীয়তপুরের ক্বারী মুয়াজ বিন আব্দুল রহমান (৩৩) , নোয়াখালীর জুবায়ের হোসাইন (২১), ময়মনসিংহর মো: আলমাস আলী (২৯), ঢাকার জুলফিকার আলী সৌরভ (২২), ভোলার নিয়াজ মাহমুদ ফারহান ও রাজশাহীর মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম (২২)।
পুলিশ আরও জানায়, এই সহিংস ঘটনায় সরাসরি জড়িত হিসেবে এখন পর্যন্ত মোট ২৮ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার ১৯ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে লুটপাট এবং কয়েকজনকে সরাসরি হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ভবনের সামনে একদল উগ্র জনতা জড়ো হয়। রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে তারা ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। একই রাতে ফার্মগেটে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতেও বাধা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই রাতে ছায়ানট ভবনেও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান পরিচালনা করে এবং ফায়ার সার্ভিস ভবনে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় গত রবিবার প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষ পৃথক মামলা দায়ের করে। মামলাগুলোতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, হত্যাচেষ্টাসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, লুট হওয়া অর্থ ও মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে তদন্ত কার্যক্রম চলমান।