হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বর প্লেট উদ্ধার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বর প্লেট উদ্ধার

ছবি: ডিএমপি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। হামলার সময় যে ভুয়া নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে ম্যানহোল থেকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।

জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে তিনি হামলার শিকার হন। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে। গুরুতর আহত হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হামলায় ব্যবহৃত একটি হোন্ডা হর্নেট মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বর প্লেট রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বনলতা আবাসিক এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।

মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে আব্দুল হান্নান নামের একজনকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সরাসরি যোগসূত্র এখনো স্পষ্ট নয়।

ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিসিটিসির একটি টিম সিসি ক্যামেরার ভিডিও বিশ্লেষণের মাধ্যমে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেট পরিবর্তনের বিষয়টি উদঘাটন করেছে।
‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরে বাংলা নগর থানাধীন পশ্চিম আগারগাঁও বনলতা আবাসিক এলাকায় একটি বাড়ির নিচ তলার পার্কিং থেকে মোটরসাইকেল ও হেলমেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভুয়া নম্বর প্লেট ম্যানহোলের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়।’

মোটরসাইকেলটির মালিকানা শনাক্তে পুলিশ ‘নিবিড়ভাবে’ তদন্ত করেছে। হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির প্রথম মালিক ছিলেন আব্দুর রহমান। পরে এটি শহিদুল, রাসেল, মার্কেটপ্লেস, ওবায়দুল ইসলাম, আনারুল এবং শুভর হাত ধরে আসে। অবশেষে হামলার ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী মো. কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মাইনুদ্দিন ইসলামের নামে মোটরসাইকেলটি কেনা হয়।

উদ্ধার করা মোটরসাইকেল, হেলমেট এবং ভুয়া নম্বর প্লেট ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Link copied!