শ্বশুরের পাঠানো গরু-ছাগলে কোরবানি হবে কি !

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ১৫, ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম

শ্বশুরের পাঠানো গরু-ছাগলে কোরবানি হবে কি !

প্রতীকী ছবি

শ্বশুরের পাঠানো গরু-ছাগল অনেকেই কোরবানি দিয়ে থাকেন। তবে, এই উপহার নিয়ে কি বলে ইসলাম? কুরআনের পরিস্কার নির্দেশনা হল, যাদের সামর্থ্য আছে কুরবানি একমাত্র তাদের জন্যই প্রযোজ্য। আর যাদের সামর্থ্য নেই, তাদের কুরবানি করা জরুরি নয়। কেননা, অন্যের উপহারে কারও উপর ওয়াজিব হওয়া কুরবানি গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা অনেকটা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সরকারি খয়রাতে হজ করার মতো।

এটাও এক ধরনের যৌতুক, এবং ইসলামী সংস্কৃতিতেও বর্জনীয়। এই জঘন্য সংস্কৃতি প্রচলনের উৎস কোথা থেকে?

অনেক ছেলের পরিবার বা আত্মীয়স্বজন মেয়ের পরিবারে এসবের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। আর তাই কেউ কেউ ধারকর্জ করে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসব গরু ছাগল পাঠান। নইলে মেয়েকে অনেক আজেবাজে কথাবার্তা শুনতে হয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে শারীরিক নির্যাতনও হয়ে থাকে।

আবার কিছুসংখ্যক মেয়েকেও দেখা যায় বাবা-মায়ের কাছ থেকে এসব গরু ছাগল উপহার নিতে। এরা বিয়েতেও নিজ বাবাকে অপব্যয় করানোতে অগ্রণী ভূমিকা নেয়। যদিও এজন্য মেয়ের বাবা মায়েদেরও কিছুটা দায় আছে। বেশিরভাগ পরিবার মেয়েদের প্রাপ্য সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয় না। তাই মেয়েরা এসব অন্যভাবে আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা করে। আবার অনেক মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে নিজের অবস্থান শক্ত করার জন্য হলেও নিজ বাবা মায়ের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।

এই জোরজবরদস্তির উপহার মেয়ের পরিবারের ওপর একটা ভয়াবহ চাপ ছাড়া কিছুই না। বাংলাদেশের মানুষের উচিত এই প্রথা বর্জন করা এবং এই অসুস্থ সংস্কৃতি বন্ধ করা।

কোরবানি শুরু হয়েছিল হজরত আদম (আ.)-এর দুই ছেলে হাবিল ও কাবিল থেকে। পরবর্তী সময়ে কোরবানির জন্য হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তার শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-এর আত্মবিসর্জন কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মুমিনের জন্য অনন্য শিক্ষা ও প্রভুপ্রেমের পাথেয়। কোরবানি স্বাভাবিক কোনও আমল নয়। বরং এর সঙ্গে মিশে আছে তাৎপর্য। পশু জবাই করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অফুরন্ত সুযোগ। অথচ আমরা শ্বশুরবাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে পশু আদায় করছি। এতে সওয়াব অর্জনের বদলে কামাই করছি গুনাহ।  

Link copied!