বিশ্বের 'প্রথম' গর্ভবতী মমির সন্ধান পেয়েছেন পোল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির ওয়ারসও-তে রাখা একটি ২০০০ বছরের পুরনো মিশরীয় মমির পরীক্ষা করে এটির হদিশ পেয়েছেন তারা।
আর্কিওলজিস্ট মার্জেনা ওজারেক-জিলকে জানান, 'আমার স্বামী স্ট্যানিসলও মমিটির এক্স-রে ছবি পরীক্ষা করেন। সেই সময়েই মমির গর্ভে একটি ছোট্ট পা দেখতে পান তিনি।' তিন সন্তানের বাবা-মা'র পুরো বিষয়টি বুঝতে বেশি সময় লাগেনি।
এরপরেই মমিটির উপর আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। সেই সময়েই উঠে আসে একের পর এক তথ্য। জানা যায় ২০ থেকে ৩০ বছরের ছিলেন ওই মৃত মহিলা। গর্ভের সন্তানের বয়স ছিল ২৬ থেকে ৩০ মাস। ‘আমরা জানি না মমি করার সময়ে কেন ভ্রূণটি বের করা হয়নি। এ ধরনেরর মমি বিশ্বে এই প্রথম।’ দাবি করলেন পোলিশ অ্যাকাদেমি অফ সায়েন্সেস-এর বিজ্ঞানীরা।
অ্যানথ্রোপোলজিস্টদের ধারণা, মৃত মহিলা যে গর্ভবতী, তা সম্ভবত মমি করা ব্যক্তিদের জানা ছিল না। অথবা পরজন্ম জাতীয় কোনও বিশ্বাস থেকেও এমনটা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু মহিলার এত অল্প বয়সে মৃত্যুর কারণ কী? আপাতত তারই খোঁজ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বহু বছর আগেই মমিটি মিশর থেকে পোল্যান্ডে নিয়ে আসা হয়। ১৯১৭ সাল থেকে জাতীয় জাদুঘরে রাখা হয়েছে সেটি। এতদিন ধরে এই মমির বিষয়ে কেন কিছু জানা গেল না, তা ভেবেই তাজ্জব বিজ্ঞানীরা।