জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় পৌঁছেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসব দল একসঙ্গে অংশ নেবে।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর রূপায়ন টাওয়ারে এনসিপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ তথ্য জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শুরু থেকেই এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এ লক্ষ্যে সারাদেশ থেকে মনোনয়নও আহ্বান করা হয়। পরবর্তী সময়ে সংস্কার ইস্যুতে আরও দুটি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা হয়।
তবে শরিফ ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনার পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় পরিবর্তন এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নাহিদ বলেন, এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে যে দেশে এখনো আধিপত্যবাদী শক্তি সক্রিয় রয়েছে এবং তারা নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
তিনি জানান, এই বাস্তবতায় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের নেতৃত্বাধীন আট দলের সঙ্গে আলোচনা করে এনসিপি নির্বাচনী সমঝোতায় সম্মত হয়েছে।
“এই সমঝোতার আওতায় জাতীয় নাগরিক পার্টি ও আট দলের জোট একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেবে,” বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, এই সমঝোতা শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এর সঙ্গে সংস্কার, বিচার, দুর্নীতিবিরোধী ও আধিপত্যবাদবিরোধী কর্মসূচিও যুক্ত থাকবে, যাতে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী জনআকাঙ্ক্ষা ব্যাহত না হয়।
তিনি জানান, সোমবার জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। যেসব আসনে এনসিপির প্রার্থী থাকবে না, সেসব আসনে জোটভুক্ত দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানো হবে।
দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে কেউ এ সিদ্ধান্তে একমত না হলে, সে ক্ষেত্রে তিনি নিজস্ব অবস্থান নিতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন নাহিদ।
এর আগে সন্ধ্যায় পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান জানান, জামায়াতের নেতৃত্বাধীন আট দলের নির্বাচনী জোটে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুক্ত হচ্ছে।