জুলাই ১৫, ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা হলে ফেরার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটা ৫০ মিনিটে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানান হলটির প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেন।
পরবর্তীতে সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক ’দালাল দালাল’ ‘ভুয়া ভুয়া’ শ্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে তারা ক্যাম্পাস থেকে বহিরাগতদের বের করার দাবিও তুলতে থাকেন।
এদিকে ক্যাম্পাসে শ্লোগানরত শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের পর সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানও উপস্থিত হন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সবকিছু আমাদের হাতে নেই। সুযোগ থাকলে আমরা বহিরাগতদের আগেই সরিয়ে দিতাম। এখন আমরা হল প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হলের অভ্যন্তরে ঢুকিয়ে বহিরাগতদের বের করার ব্যবস্থা করবো। শিক্ষার্থীদের হলে ঢোকানোর আগে বহিরাগতদের বের করাটা কঠিন হচ্ছে।”
সেখান থেকে ৩০ গজ দূরে একটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) নিয়ে কয়েক শ’ পুলিশ সদস্য অবস্থান নেন। এর আগে তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হল গেট থেকে দোয়েল চত্বরের দিকে নিয়ে যায় পুলিশ।
একই দিন বিকেল তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হতে থাকে। পরে সেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে চলতে থাকে।
পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া আহতদের দেখতে গিয়ে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে (আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ) আবারও ধাওয়া-পাল্টা শুরু হয়। একপর্যায়ে শহীদুল্লাহ হলের সামনে আবারও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।