গত ১২ সেপ্টেম্বর টেক জায়ান্ট অ্যাপেল তাদের নতুন আইফোন ১৫ সিরিজ উন্মোচন করেছে। প্রতিবছরের মত ৪ টি নতুন মডেল আসছে এই সিরিজে। আইফোন ১৫ ও ১৫ প্লাসের পাশাপাশি থাকছে আইফোন ১৫ প্রো ও প্রো ম্যাক্স। অ্যাপেল তাদের ‘ওয়ান্ডারলাস্ট’ নামক অনুষ্ঠানে এই সিরিজের প্রযুক্তিকে ‘ইন্ড্রাস্টি লিডিং প্রযুক্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। কিন্তু আদতে কী এটি ইন্ডাস্ট্রি লিডিং? নাকি গতবছরের আইফোন ১৪ প্রো’র প্রযুক্তির ওপর নতুন মোড়ক!
গতবছরের সেপ্টেম্বরে অ্যাপেল তাদের আইফোন ১৪ সিরিজ বাজারে আনে। সেই সিরিজে প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী A16 বায়োনিক চিপসেট যুক্ত করে, এর পাশাপাশি সুপার রেটিনা এক্সডি আর ডিসপ্লে, ডায়নামিক আইল্যান্ড সহ নতুন কিছু প্রযুক্তি নিয়ে আসে। এবছর ঠিক একই প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়েছে ১৫ সিরিজের প্রত্যেকটি মডেলে। ১৫ ও ১৫ প্লাস মডেলে গতবছরের A16 বায়োনিক চিপসেটি ব্যাবহার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ক্যামেরার দিক থেকে আইফোন ১৪ ও ১৫ সিরিজের তেমন একটা তফাৎ নেই বললেই চলে। পেছনে ৪৮ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরার পাশাপাশি ১২ মেগা পিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা ও প্রো মডেলে এর একটি অতিরিক্ত টেলিফটো সেন্সর থাকছে এবছরের মডেলগুলোতে। যদিও ব্যাটারীর দিকে সামান্য পরিবর্তন এসেছে নতুন মডেল গুলোতে। পাশাপাশি নতুন আইওএস ১৭ ব্যবহারকারিদের নতুন নির্যাস দিবে।
নতুনত্বের দিক বলতে শুধুমাত্র নিজস্ব লাইটেনিং চার্জিং পোর্টের বদলে প্রতিষ্ঠানটি প্রথম বারের মতো ব্যাবহার করেছে ইউএসবি টাইপ সি চার্জিং পোর্ট। যদিও এ প্রযুক্তি নতুন নয় , প্রায় ১১ বছর পুরোনো প্রযুক্তি তারা ব্যাবহার করছে নতুনভাবে। এতে কতটুকু ইন্ড্রাস্ট্রি লিডিং প্রযুক্তি ব্যাবহার হয়েছে তাতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।