করোনাভাইরাস পরীক্ষায় কাজে লাগতে পারে কুকুর। সে ক্ষেত্রে দরকার হবে না আরটি-পিসিআর পরীক্ষাও। সম্প্রতি ‘লন্ডন স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন’-এর জীববিজ্ঞানীরা এমনই দাবি করেছেন।
ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জীববিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, প্রায় ৮২ থেকে ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রে কুকুর গন্ধ শুঁকেই বলে দিতে পারছে কে করোনায় আক্রান্ত। এমনকি উপসর্গ নেই এমন আক্রান্তদেরও সহজেই চিহ্নিত করতে পারছে তারা।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর থেকে কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয় করোনাভাইরাস শনাক্ত করার কাজে। ইংল্যান্ডের ওই জীববিজ্ঞানীরা ৬টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের সামনে ২০০ জন ব্যক্তির ব্যবহার করা মোজা রাখেন। পরে দেখা যায়, ওই ২০০ জনের মধ্যে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত, তাঁদের সহজেই চিহ্নিত করতে পেরেছে কুকুরের দলটি। গবেষক দলের সদস্য ক্লেয়ার গেস্ট জানিয়েছেন, ‘কুকুরের ঘ্রাণশক্তি এতটাই তীক্ষ্ণ ওরা সহজেই বুঝতে পারে কোভিডের উপস্থিতি। ঠিক মতো প্রশিক্ষণ পেলে এই কাজ সফল ভাবে করা সম্ভব ওদের পক্ষে।’
কুকুরকে কোভিড পরীক্ষায় সফল ভাবে কাজে লাগানো গেলে অনেক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের দাবি, বিমানবন্দর দিয়ে বহু মানুষ দেশে ঢোকেন। তাঁদের অনেককেই আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কুকুর যদি সফল ভাবে করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে পারে, তা হলে নিভৃতবাসে থাকার সময়টি বাঁচবে।
গবেষক দলের প্রতিনিধি জেমস লোগান এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অন্য যে কোনও পদ্ধতিতে কোভিড পরীক্ষার থেকে কুকুর এই কাজটি অনেক দ্রুত করতে পারে। ফলে আগামী দিনে এই কাজে কুকুরকে ব্যবহার করা হলে সময় বাঁচবে।’