ট্যাক্সিডার্মিঃ মৃত পাখি উড়বে ড্রোন হয়ে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এপ্রিল ২৫, ২০২৩, ১২:২০ এএম

ট্যাক্সিডার্মিঃ মৃত পাখি উড়বে ড্রোন হয়ে!

কমিক্স কিংবা হোক হলিউডের সিনেমায় দেখা যায় সাইবর্গদের জয়জয়কার। ইতিমধ্যেই ডিসির সুপারহিরো ভিক্টর ভিক স্টোনের সাথে আমাদের পরিচয় ঘটেছে জ্যাক স্নাইডারের জাস্টিস লিগে।

সাইবর্গ মানব শরীর আর প্রযুক্তির এক অদ্ভুত মেলবন্ধন।সাইবর্গ হলো এমন ধরনের মানুষ, যাদের শরীরের কোনো একটি অঙ্গ যন্ত্র দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। ফলে তারা হয়ে উঠেছেন স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে আরো উন্নত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে থেকেই মানুষ এই যন্ত্র মানবের কথা ভেবে আসছে এবং বিভিন্ন সাহিত্যে তার প্রকাশ ঘটেছে।

সাইবর্গ এর ধারণা থেকেই এবার নিউ মেক্সিকো ইনস্টিটিউট অব মাইনিং অ্যান্ড টেকনোলজির একদল গবেষক মৃত পাখির সংরক্ষিত ট্যাক্সিডার্মি দিয়ে ড্রোন তৈরি করছে। সাধারণত গবেষণা বা পাঠদানের উদ্দেশ্যে এই ট্যাক্সিডার্মি ব্যবহার  করা হয়। এতে ওই পাখিটিকে জীবন্ত দেখায়। ড্রোন পরিচালনার কাজে এ পাখি ব্যবহার করা হবে।

প্রকল্পের প্রধান ও ইনস্টিটিউটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক মোস্তফা হাসানালিয়ান বলেছেন, তিনি মূলত যে ফল খুঁজছেন, তা কৃত্রিম বা যান্ত্রিক পাখি দিতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, ‘এরপর আমরা ভাবনাটি নিয়ে এসেছি যে আমরা...এ ক্ষেত্রে মৃত পাখি ব্যবহার করতে পারি এবং সেসব দিয়েই (ড্রোন) তৈরি করতে পারি। সেখানে সবকিছুই আছে...আমরা শুধু রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাখিরা নিজেদের মধ্যে কীভাবে শক্তি পরিচালনা করে, তা যদি আমরা জানতে পারি...তাহলে আমরা (এটি) ভবিষ্যতে বিমানশিল্পে প্রয়োগ করতে পারব। এতে আরও শক্তি সঞ্চয় এবং আরও জ্বালানি সাশ্রয় করা যাবে।

গবেষকরা আরো জানান, মৃত পাখির ট্যাক্সিডার্মি দিয়ে তৈরি ড্রোনটি সর্বোচ্চ ২০ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে কীভাবে এ সময় দীর্ঘায়িত করা যায় এবং বনে জীবন্ত পাখিদের মধ্যে এটা নিয়ে পরীক্ষা করা যায়, তা নির্ধারণ করতে হবে।’

নিউ মেক্সিকো ইনস্টিটিউট অব মাইনিং অ্যান্ড টেকনোলজির পিএইচডির শিক্ষার্থী ব্রেন্ডেন হারকেনহফ এ গবেষণায় রং ও ওড়ার দক্ষতার ওপর জোর দিচ্ছেন। যদিও অনেকেই সঙ্গীদের আকৃষ্ট করার বা ছদ্মবেশ ধারণ করার উপায় হিসেবে পাখির রংকে দেখে থাকেন। আর রং কীভাবে ওড়ার দক্ষতাকে প্রভাবিত করে, তা নিয়েই গবেষণা করছেন ব্রেন্ডেন হারকেনহফ।ইতিমধ্যে জীবন্ত পাখির মধ্যেও এর প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

 

সাইবর্গ এখন শুধু কল্পনা নয় অদূর ভবিষ্যতে শুধু মানুষ না অন্যান্য প্রাণীকুলের মধ্যেও নিয়ে আসবে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

Link copied!