ভারতীয় চিত্রনায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির ফোনে আপত্তিকর বার্তা পাঠানোর অভিযোগে গত বছর নভেম্বরে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার হয় মাহবুবুর রহমান। সেসময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও করে খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ। পরে মাহবুবকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ হলেও পরবর্তীতে ওই মামলার আর কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। পুলিশ এখনো তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নিশ্চিত হতে পারেনি গ্রেপ্তারকৃত মাহবুব নায়িকা শ্রাবন্তীকে সত্যিই আপত্তিকর খুদেবার্তা পাঠিয়েছিলেন কিনা।
তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মাহবুবুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ডিজিটাল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ফরেনসিক প্রতিবেদন না পাওয়ায় আটকে আছে মামলার তদন্ত কার্যক্রম। নায়িকা শ্রাবন্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হলেও তাকে বাংলাদেশে আসতে হয়নি। কারণ এ ক্ষেত্রে শ্রাবন্তীর লিখিত অভিযোগটিই তার বক্তব্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমান শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। এর পর তিনি বিভিন্ন সময় শ্রাবন্তীকে ফোনে কল করতেন। সাড়া না পেয়ে আপত্তিকর এসএমএস দিতেন। একপর্যায়ে শ্রাবন্তী ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর সোনাডাঙ্গা থানায় মাহবুবের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামি মাহবুবকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মো. মমতাজুল হক বলেন, গ্রেপ্তার মাহবুবের মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষার রিপোর্ট এলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এর পর এ বিষয়ে আদালতে দাখিল করা হবে প্রতিবেদন।