ফুটবলে ‘থ্রো ইন’র বদলে ‘কিক ইন’ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি)। ফিফার বৈশ্বিক উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা আর্সেনালের সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার দুবছর আগে কিক ইনের এই প্রস্তাবটি তুলেছিলেন।
গত বছর ডাচ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অনানুষ্ঠানিকভাবে কিক ইনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রায়ালের জন্য প্রস্তাবগুলো আইএফএবি অনুমোদিত দিয়েছিল। কাতারের রাজধানী দোহায় আইএফএবির বার্ষিক সাধারণ সভায় থ্রো ইনের বদলে কিক ইন আনার বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভায় প্রাপ্তবয়স্কদের তৃণমূল ফুটবলে খেলা পরিচালনার সুবিধার্থে রেফারিদের শরীরে ক্যামেরা লাগানো, খেলা চলাকালীন রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করা এবং ভিএআরে রেফারির সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সীমাবদ্ধতার জন্য নিম্ন-প্রযুক্তির ভিডিও-রিভিউ সিস্টেম পরীক্ষামূলক চালুর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
সময় বাঁচানোর জন্য ৯০ মিনিটের পরিবর্তে ক্লক স্টপিং সাপেক্ষে ৬০ মিনিটের ফুটবল ম্যাচ মাঠে গড়ানোর বিষয়টিও আইএফএবি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো নিয়মগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালুর অনুমোদন প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে কিছু বিষয়ে খানিকটা সন্দিহান। তবে আইএফএবির যেকোনো প্রস্তাব উন্মুক্ত থাকবে।’
কিক ইন বিষয়ে যুক্তি এসেছে, এটি ফুটবলে মাঠে বল ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। ডাচ দ্বিতীয় বিভাগ ইতিমধ্যেই কিক ইন চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
কিক ইনের পক্ষে গতবছর ওয়েঙ্গার বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে দুটি বড় সময় নষ্টের কারণ রয়েছে। সেগুলো হল: থ্রো ইন, ফ্রি কিক, এবং কিছুটা গোল কিক।’
ওয়েঙ্গারের মতে, ‘হয়তো থ্রো ইনটা পা দিয়েই করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কিকটি ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই করতে হবে ব্যাপারটা এমন হবে।’