ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করেছে। এবার দেশে ফিরে আসবেন তারা। সুপার টুয়েলভের টানা ৫টি ম্যাচ হারের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এতো ব্যর্থতার পর কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা। মাহমুদউল্লাহ সুকৌশলে মুচকি হাসি দিয়ে জানান,‘ না এখনই এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইছি না ও চিন্তা করছি না।’
বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলবে এই স্বপ্নের কথা বলেছিলেন, সাকিব আল হাসান ও খালেদ মাহমুদ সুজন। পরে এটা রটে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল মিশন শেষ হয়। এরপরও টানা ২টি ম্যাচ হারে তারা। যদিও আশা ছিল, একটি জয় অন্তত বাংলাদেশ নিয়ে ফিরবে। কিন্তু সেটা হয়নি। মাহমুদউল্লাহ এটাও বলেন,‘ আমরাও আসলে জানি না কেন এমন হলো।’
সাকিব ও সাইফউদ্দিন চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান। নুরুল হাসান ও ছিলেন না। লড়াইটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন ছিল। আর বাংলাদেশ ৫টি ম্যাচ হেরেছে কোনো লড়াই উপহার না দিয়ে।
গুঞ্জন আছে দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ দলে আরো পরিবর্তন আসবে। অধিনায়ক বদল হবে। আর চোট কাটিয়ে সাকিব আল হাসান অধিনায়ক হতে পারেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে! কাল দুবাইয়ে মলিন বেশে আসেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৭৩ রানে অলআউট দল। আবার ৮২ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
মাহমুদউল্লাহ বলেন,‘ আমি জানি না কি হবে। সম্ভবত সিদ্ধান্ত ক্রিকেট বোর্ড থেকে আসবে। আমি চেষ্টা করেছি। আমি চেষ্টার ত্রুটি করিনি। আর আমার আসলে বলার কিছু নেই।’ বাংলাদেশ এই বিশ্বকাপে কোনো পজিটিভ কিছু নিয়ে ফিরতে পারছে না। কেন এমন হলো।
এর ব্যখা দিতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন,‘ আমরা পারফরম্যান্স ভাল করতে পারিনি। আমিও কয়েকদিন ধরে উত্তর খুঁজছি গত কয়েকদিন ধরে। কি মিসিং হচ্ছে আর কি করা প্রয়োজন আলাপ হয়েছে। কিন্তু কোনো উত্তর আমরা খুঁজে পাইনি। শ্রীলংকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া পুরো টুর্নামেন্টে আমরা খারাপ করেছি। আমি নিজেও খুঁজছি ব্যর্থতার কারণ কি।’ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখনও কিছু হয়ে ওঠেনি।
রিয়াদ বলেন,‘আমরা দেশের বাইরে ভাল করছি না টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। অনেক অনেক ইমপ্রুভ করা প্রয়োজন। আর না হলে সম্ভব না।’
কোচিং স্টাফ কি অমনোযোগ ছিল কিনা? প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো দায়িত্ব ঠিক মত পালন করেছে কিনা। এসব প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দেননি রিয়াদ। তিনি জানান,‘ আমি এসব বলতে পারবো না। আমি খেলোয়াড়দের ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছি। আমি এ ব্যাপারে বলতে পারবো না।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আরো জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ৪-৫ মাস ধরে বায়ো বাবলে রয়েছে। এর ফলে খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে পরিশ্রান্ত। আর এটাও কারণ ম্যাচে খারাপ খেলার। কোভিড পরিস্থিতিতে অনেক খেলোয়াড় চাপে থাকে।আর আমার কাছে মনে হয় এটাও খারাপ খেলার অন্যতম কারণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা নিয়ে রিয়াদ কথা বলেছেন। কেন তার পেইন কিলার খাওয়া নিয়ে এতো আলোচনা হলো।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘ ম্যাচ হারের কারণ ব্যখা করতে গিয়ে কোনো লাইনে হয়তো বলে ফেলেছি। আমার এতে কোনো দোষ ছিল না। আর ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আমাদের দূরত্ব নাই। পারফরম্যান্স করতে না পারলে অনেক কথাই উঠবে। বাইরের কথা নয়। মাঠের পারফরম্যান্সই প্রভাব ফেলেছে। আমরা ভাল খেলিনি বলে কথা উঠেছে। ওইগুলা নিয়েই কথা বেশি হয়েছে। আমরা জানি ভাল না খেললে কথা উঠবেই। এটা অভ্যাস আছে।