আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকটা স্বপ্নের মতো করেই রাঙিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী তানজিম হাসান সাকিব। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর ম্যাচে ভারতকে এশিয়া কাপের ম্যাচে ১১ বছর পর হারিয়েছে বাংলাদেশ।
দুর্দান্ত এই ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে ছিল রোমাঞ্চ আর নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ। পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকা এই ম্যাচে শেষমেষ জয়ের হাসিটা হেসেছে বাংলাদেশই। প্রথমবার খেলতে নেমেই দলের সেই জয়ে বড় অবদান তানজিমের। সাকিবের কাছে এটা স্বপ্নের মতো অভিষেকই তো বটেই!
নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার রোহিত শর্মাকে। নিজের পরের ওভারে তিলক ভার্মাকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোকা বানিয়ে সাজঘরে ফেরান। রোহিত শর্মার জন্য ট্র্যাপ করা হয়েছিল কাভার পয়েন্টে বাড়তি একজন ফিল্ডার নিয়ে। ফিল্ডিংটা এমনভাবে সাজিয়েছিলেন যাতে ব্যাটার কাভারেই শটটা খেলে।
লেন্থ্ বল, পিচ করেছে আউটসাইড অফস্ট্যাম্পে রীতিমত রোহিত শর্মার কাভার ফলাফল ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট। বাকি যে ওভারগুলো তিনি বল করেছেন সেখানেও তার মধ্যে যে এগ্রেশন দেখা গেছে সেটাই বোঝায় বাই নেচার তিনি একজন পেস বোলার।
ইনিংসের শেষ ওভারে দল যে পরিমাণ চাপে ছিল সেখান থেকে ব্যাক হ্যান্ড ডেলিভারিগুলোও তিনি যেভাবে করেছেন এবং টেলএন্ডার ব্যাটারকে যেভাবে বল করতে হয়, একটু পেছনে বল। আর ব্যাক হ্যান্ড স্লোয়ার আর সেগুলো বেশ কনফিডেন্টলিই তিনি করেছেন। নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন সাকিব।
ওয়ানডে ফরম্যাটের সর্বশেষ এশিয়া কাপের রানারআপ বাংলাদেশ। তবে এবারের আসরে স্রেফ নাকানি-চুবানি খেয়েছে টাইগাররা। ভারতের বিপক্ষে নিয়ম-রক্ষার শেষ ম্যাচটা ছিল বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ফিরে পাওয়ার মঞ্চ। সেই ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপ শেষ করলো বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের আগে এবাদত হোসেন ইনজুরিতে পড়লে তার পরিবর্তে দলে ঢোকেন তানজিম হাসান সাকিব। বিমান দিয়ে শ্রীলঙ্কায় উড়িয়ে নেয়া হলেও টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ম্যাচেই মাঠে নামানো হয়নি তাকে। শেষ ম্যাচে বেঞ্চের শক্তি পরখ করতে মাঠে নামানো হয় তানজিমকে।
বুধবার ভারতকে ৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শ্বাসরুদ্ধকর এই জয়ে ব্যাট হাতেও অবদান রেখেছেন সাকিব। নিজের প্রথম ম্যাচে দশ নম্বরে নেমে ১৪ রান করেন এই টেলএন্ডার ব্যাটার। এরপর শেষ ওভারেও দারুণ দক্ষতায় মোহাম্মদ শামিকে আটকে রেখেছেন তরুণ এই পেশোয়ার।