শক্তিমত্তার বিচারে নয়, যোগ্য দল হিসেবেই ইংল্যান্ডকে হারাল আফগানরা

ইফতেছামুল ইশাদ

অক্টোবর ১৬, ২০২৩, ১০:৫৯ পিএম

শক্তিমত্তার বিচারে নয়, যোগ্য দল হিসেবেই ইংল্যান্ডকে হারাল আফগানরা

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে একরকম উড়িয়ে দিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম অঘটনের জন্ম দিল আফগানরা।

পরিসংখ্যান ও শক্তিমত্তার বিচারে আফগানদের চেয়ে ঢের এগিয়ে ছিল জস বাটলারের দল। কিন্তু ক্রিকেটের ২২ গজে অনেক সময় সকল হিসাব-নিকাশ ছাপিয়ে যায় ক্রিকেটারদের পারফরমেন্সে। তাই করে দেখিয়েছেন রশিদ মুজিবরা।

দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের কাপ্তান জস বাটলার। এই মাঠে প্রথম ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড হয়েছে। গত ম্যাচ এই মাঠেই খেলেছে আফগানিস্তান। রান তাড়ায় অতি সহজেই জিতেছে ভারত। এই মাঠে গত দুই ম্যাচের পরিসংখ্যান থেকেই রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। তাদের ব্যাটিং লাইনআপ বিশ্বের অন্যতম সেরা। কিন্তু ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং এবং স্নায়ুচাপ সব ডিপার্টমেন্টেই ইংল্যান্ডকে টেক্কা দিয়ে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে আফগানরা।

ইংল্যান্ডকে একের পর এক ধাক্কা দিতে থাকে আফগানিস্তানের বোলাররা । শুরুটা করেন বাঁ হাতি পেসার ফজল হক ফারুকি। জনি বেয়ারস্টোকে ফেরান তিনি। দুই স্টার স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান তিনটি করে উইকেট নেন। তবে ভুললে চলবে না নবীন উল হকের পারফরম্যান্সও। চোখ ধাঁধানো ডেলিভারিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারের উইকেট ছিটকে দেন নবীন। এর আগে আফগানদের ব্যাটিং ইনিংসে রহমানুল্লা গুরবাজ এবং ইকরাম আলি খিলের অনবদ্য ব্যাটিং। ইংল্যান্ড বারবার ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। তবে আফগানিস্তানের লোয়ার অর্ডারও দুর্দান্ত ব্যাট করে। যদিও এক বল বাকি থাকতেই ২৮৪ রানে অলআউট আফগানিস্তান। দিল্লির পিচে আগের দু-ম্যাচে যাই হয়ে থাক না কেন, এই স্কোর সহজ ছিল না। ইংল্যান্ডের সামনে যথেষ্ঠ চ্যালেঞ্জিং স্কোর। কাগজ কলম, বিশ্ব ক্রমতালিকা ভুলে আফগান বোলারদের ভালো পারফর্ম করতে হত। সেটাই করে দেখালেন মুজিব উর রহমান, রশিদ খানরা।

আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট। ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার ম্যাচের আগে বলেছিলেন, যে কোনও দলকে হারানোর মতো আফগানিস্তানের মধ্যে সেই আগুন রয়েছে। তাঁর দেশের বিরুদ্ধেই সেই আগুনে পারফরম্যান্স আফগান ক্রিকেটারদের

এক যুগ আগে ২০১১ সালে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে আয়ার্ল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ইংল্যান্ড। ২০১৫ বিশ্বকাপে তাদের হারায় বাংলাদেশ। এ বার আফগানিস্তানের কাছে হার বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। আফগানিস্তান ক্রিকেটে ঐতিহাসিক রাত।

নিঃসন্দেহে এই জয় আফগানিস্তানকে বাকি ম্যাচগুলোতে আত্মবিশ্বাস যোগাবে।

Link copied!