বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ ভেন্যু বিশ্লেষণ: কলকাতা

মুবিন আহমেদ

অক্টোবর ৩, ২০২৩, ০১:৪৬ এএম

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ ভেন্যু বিশ্লেষণ: কলকাতা

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বকাপের পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে। নেদারল্যান্ড, পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুটিসহ সবগুলোই দিবারাত্রির। আছে একটি সেমিফাইনালও। ক্রিকেটের ঐতিহাসিক এই ভেন্যু সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।  

ভারতের প্রাচীনতম এবং আইকনিক স্টেডিয়ামের মধ্যে অন্যতম কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়াম। যেখানে ক্রিকেট আর ইতিহাস পথ হাঁটে হাতে হাত ধরে। কলকাতার প্রাণচঞ্চলতার রেশ ছুঁয়ে গিয়েছে স্টেডিয়ামকে। তিলোত্তমার বুকে ক্রিকেটের পীঠস্থানকে ভারতের তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম সেরা মাঠ মনে করা হয়। 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত স্টেডিয়ামটি বেঙ্গল ক্রিকেট টিম এবং আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হোম ভেন্যু। ভারতের অন্যতম জনবহুল কলকাতা শহরটি বাংলাদেশের কোল ঘেঁষে অবস্থিত। এই মাঠেই নিজেদের ইতিহাসের একমাত্র দিবারাত্রির টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ১৮৬৪ সালে স্থাপিত এই স্টেডিয়ামটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম এবং বিশ্বে তৃতীয়।

বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ অনেক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। যার মধ্যে আছে এশিয়া কাপ, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল এই মাঠে। 

স্বাভাবিকভাবে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট থাকে কলকাতায়। সাধারণত পিচ ফ্লাট এবং সমান বাউন্স থাকে যা স্ট্রোকপ্লেয়ারদের কাছে স্বর্গরাজ্য। ব্যাটাররা বেশ ভালো সুবিধা পান। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানি ব্যাটাররা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেন টাইগার বোলারদের। বাংলাদেশি ব্যাটারদেরও ভালো করার চ্যালেঞ্জ থাকবে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে। 

বিশ্বকাপে ইডেন গার্ডেন্সে সবকটি ম্যাচই হবে শেষ অক্টোবর থেকে মাঝ নভেম্বরে। সেই সময় হয়তো ঠান্ডা জাঁকিয়ে পড়বে না। তবে শীতের আমেজ থাকবে। সবচেয়ে বড় কথা, শিশির পড়বে। যা স্পিনারদের জন্য সহায়ক হবে।  সব দলকেই শিশিরের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। ইডেনের সবকটি ম্যাচই হবে  দিবারাত্রির। তাই পরে ফিল্ডিং করা দলকে বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়তে হবে।   

 

৬৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই মাঠে এ পর্যন্ত মোট ৩১টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগে ব্যাট করা দল জিতেছে ১৮ বার। পরে ব্যাট করা দল জিতেছে ১২ বার। প্রথম ইনিংসের গড় রান ২৪১।  

রেকর্ড বলে, এই মাঠে টস তেমন ভূমিকা রাখে না। টস জেতা দল ম্যাচ জিতেছে ১৭ বার হেরেছে ১৩ বার। দলীয় সর্বোচ্চ রান ভারতের ৪০৪/৫। সর্বনিম্ন ১২৩ ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ৩১৭/৩ শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভারতের রোহিত শর্মার ২৬৪ যা এখনো টিকে আছে। সেরা বোলিং ফিগার অনিল কুম্বলের ১২/৬।

প্রসঙ্গত, আগামী ৫ অক্টোবর শুরু হতে যাচ্ছে ওয়ানডে সংস্করণের ১৩তম বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী ম্যাচে লড়বে গতবারের দুইম্যাচ ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। দশ দলের অংশগ্রহণে ৪৮ ম্যাচের এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।

 ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের ম্যাচ:

১. বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডস, ২৮ অক্টোবর, শনিবার, দুপুর ২.৩০

২. বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, ৩১ অক্টোবর, মঙ্গলবার, দুপুর ২.৩০

৩. ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ৫ নভেম্বর, রবিবার, দুপুর ২.৩০

৪. পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড, ১১ নভেম্বর, শনিবার, দুপুর ২.৩০

৫. দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, ১৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, দুপুর ২.৩০

Link copied!