ডানেডিনে ১-০ তে পিছিয়ে গেলেন শান্তরা

বৃষ্টির দাপট ছাপিয়ে বাংলাদেশের হার

স্পোর্টস ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৬:৩২ এএম

বৃষ্টির দাপট ছাপিয়ে বাংলাদেশের হার

ডানেডিনের কন্ডিশন কঠিন ছিল। বৃষ্টি ও ঠান্ডা বাতাস তো বড় সমস্যাই। বৃষ্টিতে ম্যাচ নেমে গেল ৩০ ওভারে। নিউজিল্যান্ড ২৩৯ রান তুলেছিল। 

ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে টার্গেট নির্ধারণ হয় ২৪৫ রান। বাংলাদেশ ৪৪ রানে হেরেছে (ডি/এল)। ১-০ তে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। 

বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২০০ তুলে থেমেছে। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান এনামুল হক বিজয়ের। এছাড়া নিয়মিত বিরতি দিয়ে ব্যাটাররা ফিরেছে। আফিফ ও তাওহিদ হৃদয় আশা জাগান। তবে আউট হয়েছেন স্কোরিং শট খেলতে গিয়ে। 

আফিফ ৩৮ ও আফিফ ৩৩ রানে সাজঘরে ফেরেন। হতাশা ছিল। উইকেটে সেট হয়ে আউট হওয়া কষ্টের। আবার এটাও ঠিক বলের চেয়ে রানের দরকার ছিল বেশি। 

৮৪ বলে ১০৫ রান ও ২টি অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিয়ে ম্যাচ সেরা হন উইল ইয়ং। শরিফুলের ক্যাচটি বাউন্ডারি লাইনের কাছে এক হাতে তালুবন্দি করেন তিনি। 

২০ ডিসেম্বর পরের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি রয়েছে নেলসনে সেই ভোর ৪টায়। 

প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। পেসার এডাম মিলনের বলে খোঁচা মেরে দ্বিতীয় স্লিপে লাথামকে ক্যাচ দেন রানের খাতা খুলতে না পারা সৌম্য। বিশ্বকাপের আগে গত সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে নিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২ বল খেলে খালি হাতে ফিরেছিলেন তিনি। ৬৪ ম্যাচের ওয়ানডেতে অষ্টমবার শূণ্যতে আউট হলেন সৌম্য।
দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টায় ভালোই এগোচ্ছিলেন আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়  ও তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক শান্ত। ৬ ওভার শেষে দলীয় স্কোর  ৪৪ রানে নিয়ে যান তারা। কিন্তু সপ্তম ওভারে স্পিনার সোধির লেগ স্টাম্পের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ২ বাউন্ডারিতে ১৫ রান করা  শান্ত। 
শান্ত ফিরলেও, রানের চাকা সচল রেখেছিলেন বিজয়। হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে অভিষিক্ত পেসার জশ ক্লার্কসনের বলে পুল শট খেলতে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৫টি চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন বিজয়।
বাংলাদেশের রান ১শতে যাবার আগে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। ক্লার্কসনের স্লোয়ার বাউন্সারে হুক করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দেন লিটন। ১টি করে চার-ছক্কায় ১৯ বলে ২২ রান করেন তিনি। লিটনের বিদায়ের উইকেটে এসে বেশিক্ষণ ঠিকতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। শান্তর মত রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে রবীন্দ্রর বলে ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দেন ৪ রান করা মুশি।
১০৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় নিউজিল্যান্ড বোলারদের উপর চড়াও হন তাওহিদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন। ১৮তম ওভারে ১৬ রান তুলেন তারা। পরের ৪ ওভারে নেন আরও ৩২ রান। এ অবস্থায় জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরিও করেন এই দুই তরুণ ব্যাটার।
২৩তম ওভারে হৃদয়-আফিফের জুটি ভেঙ্গে নিউজিল্যান্ডকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন সোধি। সুইপ করতে গিয়ে মিলনেকে ক্যাচ দেন  ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ৩৩ রান করা হৃদয়।
পরের ওভারে ডাফির শিকার হন আফিফ। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে ৩৮ বলে ৫৬ রান যোগ করেছিলেন হৃদয়-আফিফ।  
১৬৫ রানের মধ্যে হৃদয়-আফিফের বিদায়ের পর লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা লড়াই করতে না পারলে ৩০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০০ রান করে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ২১ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। নিউজিল্যান্ডের মিলনে-সোধি ও ক্লার্কসন ২টি করে উইকেট নেন।

Link copied!