ক্রিকেটীয় চেতনার দোহাই দিয়ে সাকিবের সমালোচনা

মুবিন আহমেদ

নভেম্বর ৭, ২০২৩, ০৪:২১ পিএম

ক্রিকেটীয় চেতনার দোহাই দিয়ে সাকিবের সমালোচনা

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বকাপে ‘টক অফ দ্যা টুর্নামেন্ট’ হতে পারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের টাইমড আউটটি। হওয়াটাই তো স্বাভাবিক কারণ ১৪৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথমবার ঘটলো এই ঘটনা। আর আউটটি আবেদন করাতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ঘৃণার স্বীকার হচ্ছেন টাইগার দলনেতা সাকিব আল হাসান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সাকিবের ‘স্পিরিট অফ ক্রিকেট’ অর্থাৎ ক্রিকেটীয় চেতনাকে নিয়ে। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে গণমাধ্যম কর্মী এমনটি নেটিজেনরাও মেতেছেন সাকিবের সমালোচনায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বোলার স্টেল লিখেন, ‘WELL, THAT WASN’T COOL’ অর্থাৎ এটা মোটেও ভাল ছিল না। 

ভারতের সাবেক ব্যাটার গৌতম গম্ভীর লিখেন, ‘দিল্লিতে আজ যা ঘটলো টা অবশ্যই খুবই দুঃখজনক।’ 

অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ব্যাটার উসমান খাজা বলেন, ‘আপনি ক্রিকেটের আইন এবং ক্রিকেটীয় চেতনা ভুলে যান কিন্তু একজন স্বাভাবিক এবং স্বচ্ছ মস্তিস্কের মানুষ কীভাবে এমন অদ্ভুত আউটের জন্য আবেদন করতে পারেন!’  

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন ম্যাথুস বলেন,  ‘দেখুন আজকের আগপর্যন্ত সাকিব ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি আমার পরম শ্রদ্ধা ছিল। অবশ্যই আমরা সবাই জয়ের জন্য খেলি। এটা যদি নিয়মের মধ্যে হতো তাহলে ঠিক হতো। নিয়মে পরিষ্কার বলা আছে দুই মিনিটের ভেতর আমাকে সেখানে থাকতে হবে। আমাদের ভিডিও ফুটেজ আছে, সেটা পরে বিবৃতিতে প্রকাশ করব। আমি এখানে এসে যা ইচ্ছা তাই বলছি না। আমি প্রমাণের সঙ্গেই কথা বলছি। হেলমেটের ফিতা ছিঁড়ে যাওয়ার পরও আমার হাতে পাঁচ সেকেন্ড সময় ছিল।’

 

সংবাদ সম্মেলন শেষে ম্যাথুস দুটি স্থির চিত্রের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘প্রমাণ! যখন (সামারাবিক্রমার) ক্যাচ ধরা হয় এবং হেলমেটের স্ট্র্যাপের সময়।’

আর আম্পায়ার যে ভুল ব্যাখ্যা করছেন, তা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন ম্যাথুস। শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক লিখেছেন, ‘চতুর্থ আম্পায়ার এখানে ভুল বলেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আমার কাছে পাঁচ সেকেন্ড বাকি ছিল এমনকি হেলমেট খুলে ফেলার পরও।’

ম্যাথিউস নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেছিলেন জানিয়ে বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলি, তাই না? আপনারাই বলুন, হেলমেট ছাড়া গার্ড নেওয়াটা কি আমার জন্য ঠিক হতো? এটাই পিউর কমনসেন্স। সেই কারণে ওই মুহূর্তে আম্পায়ারদের কাজটা আরও বড় ছিল। স্পিনারদের বোলিংয়ের সময় উইকেটরক্ষককেই হেলমেট ছাড়া দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। তাহলে আমি কীভাবে হেলমেট ছাড়া গার্ড নিতে পারি?’

Link copied!