যেকোনো বোর্ড পরীক্ষার পূর্বে আপনাকে আবশ্যিকভাবে প্রিটেস্ট এবং টেস্ট পরীক্ষা দিতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্র একটু জটিল করেই করা হয়েছে ,যাতে করে মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পূর্বে আপনার মাঝে কোনো ফেইক কনফিডেন্স না জন্মায়।
চলছে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সিরিজ যা বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ। তবে বিশ্বমঞ্চে পরীক্ষার পূর্বে ‘পিচের’ মাধ্যমে যে প্রশ্নপত্রটা তৈরি করা হয়েছে সেটা কি টাইগার বোলারদের মাঝে একটা ফেইক কনফিডেন্স বা একধরনের অতি আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে না?
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে, ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি ফরমেটের বিশ্বকাপের পূর্বে ঘরের মাঠে ঠিক এই ধরনের পিচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বকাপে দেখা যায় টাইগারদের ভরাডুবি। আর নিউজিল্যান্ড ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিল!
এই মিরপুরেই ২০১০ সালে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এর পরবর্তীতে ২০১১ এর বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই ৩৭০ রান কনসিড করেছিল বাংলাদেশ। যার কারণ হিসেবে স্লো পিচে খেলে একধরনের অতি আত্মবিশ্বাস কে দায়ী করা যায়। নিউজিল্যান্ড আবার সেই বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল।
বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের স্পিনাররা লেন্থ বলে এয়ার টাইমিং করে প্রায় ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত টার্ন পেয়েছে। যা স্পিনারদের মধ্যে একটা মিথ্যা আত্মবিশ্বাস তৈরি করবে।
ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে যে ধরনের পিচ হবে সেখানে রিস্ট স্পিনারদের ইমপ্যাক্ট থাকবে বেশি। ওই ধরনের পিচে লেন্থ বল এয়ার টাইমিংয়ে এর অর্ধেক টার্নটুকুও পাবে কিনা সন্দেহ!
সর্বোপরি, মূল পরীক্ষায় যাওয়ায় পূর্বে পিচের মাধ্যমে সহজ প্রশ্নপত্র তৈরি না করে বাস্তববাদী প্রশ্ন তৈরি করা গেলে আর যাই হোক না কেন, ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা মিথ্যা আত্মবিশ্বাস জন্মাতো না।