২০০২ সাল থেকে বেশ সুনামের সাথে আইসিসির এলিট প্যানেল আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন পাকিস্তানের আলিম দার। প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে এই তালিকায় সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। দুই যুগ দায়িত্ব পালনের পর এবার নতুনদের সুযোগ করে দিতে প্যানেল থেকে পদত্যাগ করলেন ৫৪ বছর বয়সী পাকিস্তানি এই আম্পায়ার।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির এক বিবৃতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ছেলেদের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ টেস্ট ও ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করা এই আম্পায়ার। তবে আইসিসির এলিট প্যানেল ছাড়লেও আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চান আলিম।
বিবৃতিতে আলিম দার বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে আম্পায়ারিং করাটা ছিল আমার জন্য আনন্দের, একইসঙ্গে সম্মানের। আমি যা অর্জন করেছি, এই পেশায় ঢোকার সময় সেটি স্বপ্নতেও ভাবিনি। তবে আমি এখন মনে করছি, এলিট প্যানেলে ১৯ বছর থাকার পর এখন সরে যাওয়ার সময় এসেছে। এতে করে আন্তর্জাতিক প্যানেলে অন্য কেউ সুযোগ পাবে।’
আলিম দারের ২০০০ সালে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। এরপর ২০০৩ সালে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে হয় টেস্ট অভিষেক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ার হিসেবে তার পথচলা শুরু ২০০৯ সালে, দুবাইয়ে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে।
চারটি বিশ্বকাপ ফাইনালসহ ছেলেদের ক্রিকেটে রেকর্ড ৪৩৫টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন আলিম দার। ১৪৪ টেস্ট, ২২২টি ওয়ানডে এবং ৭৩ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ার ছিলেন তিনি। যার মধ্যে ২০০৭ ও ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আলিম দার। পরিচালনা করেছেন ২০১০ ও ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালও।
মাঠে নিখুঁত আম্পায়ারিংয়ের কারণে ২০০৯ থেকে ২০১১ টানা তিনবার বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার ‘ডেভিড শেফার্ড ট্রফি’ জেতেন আলিম দার। আম্পায়ারদের উন্নয়নে ২০১৩ সালে নিজ দেশের লাহোর প্রদেশে একটি ক্রিকেট একাডেমি গড়ে তুলেছেন পাকিস্তানি এই আম্পায়ার।