অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দেওয়ার পর গণমাধ্যমে কথা বলেছেন সাকিব আল হাসান। জানিয়েছেন বিশ্বকাপে সম্ভাবনার কথা। দ্য রিপোর্টের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে কী বলবেন?
অবশ্যই ভালো লাগে এরকম কোনো অর্জন যখন হয়। ব্যক্তিগত অর্জনগুলো অবশ্যই অনুপ্রাণিত করে দলের হয়ে ভালো খেলার জন্য। তবে এটা কখনোই সম্ভবত হতো না, এ যাবতকালে যতজন সতীর্থের সঙ্গে খেলেছি, তাদের সাপোর্ট না পেলে। তাদের সাপোর্ট, কোচিং স্টাফ-দর্শক, সবার সপোর্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খুবই খুশি। এবং আমার মনে হয় আমি আরও অনেক দিন অবদান রাখতে পারব। সেই চেষ্টাই থাকবে আমার।
সিরিজ নিয়ে সন্তুষ্ট কী না?
অবশ্যই সন্তুষ্টি আছে। হয়তো প্রতি ম্যাচেই আমরা ১০-১৫ রান করে বেশি করতে পারতাম। একটা সময় ছিল, যেখানে এটা সম্ভব ছিল। তবে সেটা বলার পরও, উইকেট এতটাই কঠিন ছিল যে নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য খুবই কঠিন ছিল। আসলে তাই ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বলার কিছু নাই। আর একটা সিরিজ দিয়ে কাউকে বিচার করা ঠিক হবে না, কারণ কন্ডিশন খুব কঠিন ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য। ওভারঅল বোলিং তো আমরা প্রতিটি ম্যাচেই খুব ভালো বোলিং করেছি। আমার কাছে মনে হয়, পাঁচটি ম্যাচে বোলিংয়ের যে ধারাবাহিকতা ছিল, এটা যদি ধরে রাখতে পারি বিশ্বকাপ পর্যন্ত, আমাদের পক্ষে ভালো কিছু করা সম্ভব।
বিশ্বকাপে সম্ভাবনা দেখছেন কী না?
স্কোরকার্ড দেখে হয়তো অতটা আত্মবিশ্বাসী মনে নাও হতে পারে। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ জয়, এখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়, এরপর নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে আছে, এসব আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাবে বিশ্বকাপের দিকে এগিয়ে চলার পথে। আমার মনে হয় ভালো প্রস্তুতিই হবে। যদিও ব্যাটসম্যানদের আন্ডারে হয়তো অতবেশি রান হবে না, যেহেতু আমরা মন্থর, নীচু বাউন্স ও টার্নিং উইকেটে খেলছি। কিন্তু দলের জয়ই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই আত্মবিশ্বাসটা থাকলে দলের ভেতর মোরাল অনেক ভালো থাকে এবং জেতার যে মানসিকতা, তা তৈরি হয়।
বড় দলের বিপক্ষে খেলা...
বাড়তি মোটিভেশন থাকে যখন বড় বড় দলগুলির সঙ্গে খেলা হয়, যারা নরম্যালি আমাদের দেশে সফরে আসে না নিয়মিত, তাদের সঙ্গে খেলা হলে একটু বাড়তি মোটিভেশন তো থাকেই। যেহেতু আমাদের জিম্বাবুয়েতে একটা ভালৈা সিরিজ গিয়েছে এবং সবাই খুব মোটিভেটেড ছিল যে এই সিরিজটাও আমাদের ভালো করতে হবে, যেহেতু আমরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কখনও সিরিজ জিতিনি এবং এটা একটা সুযোগ ছিল, তাই আমরা সবাই চেয়েছিলাম যেন দলগতভাবে ভালো করতে পারি। সেটাই হয়েছে।