তামিম ইকবালের পর ব্যাটিংয়ে দাপট দেখালেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। তামিম চোট নিয়ে ১৩৩ রানের রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছেন। লিটন ও মুশফিক ফিফটি করেছেন। আর ৯৮ রানের জুটি উপহার দিয়ে টিকে আছেন।
বাংলাদেশ তৃতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৩১৮ রান সংগ্রহ করেছে ৩ উইকেটে। মুশফিকুর ৫৩ ও লিটন ৫৪ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশ ৭৯ রানে পিছিয়ে আছে।
শ্রীলংকা গতকাল প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রান সংগ্রহ করেছিল। বাংলাদেশের নাইম হাসান ৬ উইকেট নেন।
শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটিতে নতুন রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে ১৬২ রান করেন তামিম-জয়। যা শ্রীলংকার বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে যা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
এর আগের রেকর্ডটিতেও ভাগীদার ছিলেন তামিম। সেখানে তামিমের সঙ্গী ছিলেন সৌম্য সরকার। ২০১৭ সালের মার্চে গল টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান করেছিলেন তামিম-সৌম্য। ঐ ইনিংসে তামিম ৫৭ ও সৌম্য ৭১ রান করেছিলেন। টেস্টটি ২৫৯ রানে হেরেছিলো বাংলাদেশ।
আজ, দলীয় ১৬২ রানে জয়ের আউটে তামিমের সাথে উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হয়। ১৪২ বলে ৯টি চারে ৫৮ রান করেন জয়। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম।
সাড়ে সাত বছর পর চট্টগ্রামের মাটিতে টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে চলমান শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন তামিম।
২০১৪ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। এরপর চট্টগ্রামে ৫ টেস্টে ৯ ইনিংস খেললেও, সেঞ্চুরি পাননি তামিম।
আর সাড়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর ঘরের মাঠে সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম। ২০১৬ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তামিম।
এরপর দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ৪২টি ইনিংস খেললেও, তামিম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন একটি। সেটি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৮ বলে ১২৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তামিম।
২০১৪ সালের পর চট্টগ্রামে এবং ২০১৬ সালের পর ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি পেলেন তামিম।