দক্ষিণ আফ্রিকার অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন আপ বনাম ভারতের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ। দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের তিন টেস্টের সিরিজকে এভাবেই দেখছেন অ্যালান ডোনাল্ড। কিংবদন্তি পেসারের মতে, ‘এই লড়াইটাই ঠিক করে দেবে সিরিজের গতিপ্রকৃতি। গত কয়েক মরশুম ধরে আমরা বড় রান তুলতে পারছি না। ভারতের বিরুদ্ধে একই সমস্যা দেখা দিলে বিপদ অনিবার্য। তবে বড় রান তুললে আমরাই সুবিধাজনক অবস্থায় থাকব। কারণ, ভারতের ২০ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের রয়েছে। জানি, দুই দলের বোলিংই শক্তিশালী। ফলে উভয় দলের ব্যাটসম্যানদের সামনেই কঠিন চ্যালেঞ্জ। গত কয়েক বছরে অবশ্য আমাদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান অবসর নিয়েছে। তাই আমাদের ব্যাটিং লাইন-আপে অনভিজ্ঞতার ছাপ সুস্পষ্ট। ভারতীয় বোলাররা কড়া পরীক্ষার মুখে ফেলবে প্রোটিয়াদের।’
৭২ টেস্টে ৩৩০ উইকেট নেওয়া ডোনাল্ড এই সিরিজের দিকে আগ্রহের সঙ্গে তাকিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা সিরিজ এটা। ভারতীয় দল রীতিমতো শক্তিশালী। ফলে দুর্দান্ত লড়াই দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। কয়েক বছর আগে কোহলি বলেছিল, বিদেশে টেস্ট না জিতলে গ্রেট দল হিসেবে চিহ্নিত হওয়া সম্ভব নয়। আর ভারত সেই চেষ্টাই করছে। ওরা অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জিতেছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও উঠেছে।’
আর এক প্রাক্তন প্রোটিয়া পেসার মাখায়া এনতিনি অবশ্য টেস্ট সিরিজে ভারতের জয় দেখছেন না। তাঁর যুক্তি, ‘হ্যাঁ, ভারতীয় দল খুবই ভাল। তবে স্থানীয় কন্ডিশনের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা বেশি পরিচিত। আমার মতে, সেটাই সাফল্যের চাবিকাঠি হতে চলেছে। উইকেট কেমন, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে নিজেদের। সেটাই এগিয়ে রাখছে আমাদের।’ ১০১ টেস্টে ৩৯০ উইকেট নেওয়া এনতিনি আরও বলেন, ‘অধিনায়ক ডিন এলগার ও তেম্বা বাভুমার দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে থেকে বড় রান করার ক্ষমতা রয়েছে। ভ্যান ডার দুসেনের ব্যাটিংও পছন্দ করি। আছে কুইন্টন ডি’ককও। ও সহজাত আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করে। আর আমাদের বোলিং আক্রমণ নিশ্চিতভাবেই ভারতকে চাপে রাখতে সক্ষম হবে। এদেশে ভারত কখনও টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি। মনে হয় না, সেই ধারা এবার বদলাবে।’