অ্যাশেজের ব্রিজবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭৮ রানে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াইয়ে ফিরেছে ইংল্যান্ড দল। ডেভিড মালান ও অধিনায়ক জো রুটের ব্যাটিং নৈপুন্যে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ২২০ রান করেছে ইংলিশরা। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে এখন ৫৮ রানে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ১৪৭ রানের জবাবে আগে ট্রাভিস হেডের ১৫২ রানে ভর করে প্রথম ইনিংস ৪২৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই ইংল্যান্ডকে ১৪৭ রানে অলআউট করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টির কারনে প্রথম দিন ব্যাটিংয়ে নামতে না পারলেও, দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩৪৩ রান করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে হেড ১১২ ও মিচেল স্টার্ক ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
তৃতীয় দিন স্টার্ককে ৩৫ রানে থামিয়ে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস ওকস। হেডের সাথে ৮৫ রান যোগ করেছিলেন স্টার্ক।
নবম উইকেটে নাথান লিঁওর সাথে ২৯ রান দলকে এনে দেন হেড। লিঁওকে ১৫ রানে আটকে দেন মার্ক উড। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে দলীয় ৪২৫ রানে আউট হন হেড। ১৫২ রান করে উডের বলে বোল্ড হন হেড। তার ১৪৮ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিলো। হেডের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংস থেকে ২৭৮ রানে লিড পায় অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ডের রবিনসন ৪৮ রানে ও উড ৮৫ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। ওকস ২টি ও লিচ-রুট ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে ৬১ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ম্যাচের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া অস্ট্রেলিয়ার নয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ১৩ রান করা ররি বার্নসকে ফেরান তিনি।
এরপর আরেক ওপেনার হাসিব হামিদকে তুলে নেন স্টার্ক। ২৭ রান করে ফিরেন হামিদ। হামিদ-বার্নস দু’জনই, উইকেটের পেছনে অ্যাক্স ক্যারিকে ক্যাচ দেন।
তৃতীয় উইকেটে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন মালান ও রুট। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলে দিন শেষে অবিচ্ছিন্ন থেকে যান তারা। ২৯৪ বলে ১৫৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন মালান ও রুট।
১৭৭ বলে মালান ৮০ এবং রুট ১৫৮ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। মালান-রুট উভয়েই নিজেদেও ইনিংসে ১০টি করে বাউন্ডারি হাকান।