বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে আশা সোহানের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২৮, ২০২১, ০৮:৫২ পিএম

বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে আশা সোহানের

 

সেমির পথ অনেক কঠিন, দলের আবহ কেমন 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্লোজ ম্যাচে হেরেছি। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে পরের ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ওটার ওপরই মনোযোগ দিচ্ছি। প্রতিটি ম্যাচে খেলতে নামার আগে যেভাবে জয়ের জন্য নিজেদের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি, কালও এই চেষ্টাই করব। 

 

নিজের ব্যাটিং 

যেহেতু আমরা মিডল বা লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করি... টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলের জন্য যতটুকু করা দরকার সেটা করার চেষ্টা করব। হয়ত গত ২-১ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ভালো কিছু করতে পারিনি। ইনশাআল্লাহ্‌ পরের ম্যাচে সুযোগ আসলে চেষ্টা করব নিজের শতভাগ দেওয়ার। 

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ

টি-টোয়েন্টিতে ছোট বা বড় দল নেই। যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। বিগত দিনে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশ দলের খারাপ সময় আসে, এখান থেকে রিকভারি করে ভালো সময়েও আসতে পারি। একটা ম্যাচ জেতার জন্য অপেক্ষা করছি। কালকের ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সবাই শতভাগ দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। ফলাফল খেলা শেষে দেখা যাবে। আমরা শতভাগ চেষ্টা করতে পারি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত ২-৩টি সিরিজে আমরা ভালো খেলেছি। এটা আমাদের আরও অনুপ্রেরণা দিবে।

 

সেমিফাইনালের স্বপ্ন কি এখনও আছে 

অবশ্যই। আমাদের টিকে থাকতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। সবার মনোযোগ এই ম্যাচ নিয়েই। ইনশাআল্লাহ্‌ কাল যদি ভালোভাবে শুরু এবং শেষ করতে পারি তাহলে হয়ত পরের ম্যাচগুলো সহজ হয়ে যাবে এবং পুরো দল চাঙ্গা হয়ে যাবে। দুই ম্যাচ হেরে অবশ্যই আমরা টুর্নামেন্টে ব্যাকফুটে আছি। বাংলাদেশে থাকতে অনেকেই বলেছি আমাদের আশা সেমিফাইনাল খেলা। কাল জিতলে সেমিতে খেলার আশা টিকে থাকবে।

 

ফিল্ডিং এর উপর কতটা নজর দিচ্ছেন?

আসলে সত্যিকার অর্থে ক্রিকেটে ফিল্ডিংটা অনেক বড় একটা পার্ট । ক্যাচ মিস যে কারোই হতে পারে বাট আমার কাছে মনে হয় আমরা টিম ওয়াইজ খুব ভালো মতোই ক্যাচিং প্র্যাল্টিস করতেসি। হয়তো মাঠে ব্যপারটা ভালো মতো হচ্ছে না। আমার কাছে মনে হচ্ছে ক্যাচ মিস যেকোনো কারণেই হতে পারে। বাট সামনে যে ম্যাচগুলো আছে সেখানে যেন সুযোগগুলো শতভাগ কাজে লাগাতে পারি। 

 

শ্রীলঙ্কা ম্যাচের বোলিং থেকে এই ম্যাচে কতটা পরিবর্তন চান।

দেখেন আমি যেমনটা বললাম, একেকটা ম্যাচের সিচুয়েশন একেক রকম থাকে। যে জিনিসটা হয়তো শ্রীলঙ্কা ম্যাচে এক রকম ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে আরেকরকম থাকবে। আমাদের যেটা গুরুত্বপূর্ণ হলো যে, বোলিং যদি শুরু করি আমরা ফাস্ট সিক্স ওভার পাওয়ার প্লে'টা ম্যাচের ম্যাচ কোনদিকে যাচ্ছে বা উইকেট কেমন বিহ্যাব করতেছে সেটা বলে দেবে। সেইম জিনিসটা ব্যাটিং এর ক্ষেত্রেও। প্রথম ছয় ওভার খেললে বুঝতে পারব যে এই উইকেটে কত রান হচ্ছে বা আমাদের ব্যাটিং প্ল্যানটা কীভাবে করতে হবে। তো আমার মনে হয় আমাদের সিচুয়েশন অনুযায়ী কোপআপ করাটা জরুরী।

 

বাইরের ঘটনাগুলো চাপে ফেলছে কী না।

না এই জিনিসটা কিন্তু নতুন কিছু না। আমরা যখন খারাপ করি তখন আমাদের সমালোচনা সব সময়েই হয়। আমরা ওটা কাম্য করি যে সমালোচনা হয়। আমার মনে হয় গঠনমূলক সমালোচনা হওয়া জরুরী। আর যে জিনিসটা আমরা হয়তো খারাপ করতেসি এটা আমাদের মানতেই হবে। কিন্তু অনেক সময় আমাদের যেটা হয়েছে খারাপ সিচুয়েশনে ছিলাম আবার আমরা ব্যাক করেছি। আমার কাছে মনে হয় এটা আমাদের জন্য ইম্পর্ট্যান্ট আরও যে তিনটা ম্যাচ আছে ওয়ার্লডকাপের, সেখানে যদি ভালো কিছু করতে পারি তাহলে সব পজিটিভ ভাবেই আসবে।

 

এ অবস্থা থেকে সেমিফাইনাল স্বপ্ন না এক-দুটা ম্যাচ জেতা

এখন সব থেকে বড় যে জিনিসটা তা হল টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে গেলে উইন্ডিজের সঙ্গে ম্যাচটা জেতা গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমাদের সবার ফোকাসটা এই ম্যাচ নিয়েই। ইনশাআল্লাহ যদি আমরা কালকের ম্যাচটা ভাল ভাবে শুরু এবং শেষ করতে পারি তবে সামনে যে ম্যাচগুলো আছে সেগুলো আরো সহজ হয়ে যাবে। এবং অঅমরা কাছে মনে হয় যে পুরো দলটাই চাঙ্গা হয়ে যাবে। যেহেতু আমরা প্রথম দুটা ম্যাচ হেরেছি তো আমরা অবশ্যই একটু ব্যাকফুটে আছি টুর্নামেন্ট অনুযায়ী। তো কালকের ম্যাচটা অঅমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্।

 

সেমিফাইনাল স্বপ্ন

না অবশ্যই আমি যেটা আমি বরলাম। অঅমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল কালকের ম্যাচটা। কালকে যদি জিততে পারি তবে আমরা বাংলাদেশ থেকেই অনেকে বলেছি যে সেমিফাইনাল খেলতে চাই, তো কালকের ম্যাচটা যদি জিততে পারি সেমিফাইনালের আশাটা থাকবে। 

 

হার্ডহিটারদের বিপক্ষে কোন পরিকল্পনা/ছোট বাউন্ডারী কতটা খারাপ বা ভাল

আসলে আমরা প্রথম ম্যাচে শারজায় খেলেছি। তার আগে থেকে অনেক কিছুই শুনছিলাম যে ওই পিচে রান হচ্ছে না বা ১৫০-১৬০ গুড এনাফ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম যে আমরা ১৭০ করেও জিততে পারিনি। তো আমার মনে হয় যে কাল কোন উইকেটে খেলা হবে কা কেমন থাকবে পিচ তা যখন ম্যাচে যাব তখনই বুঝতে পারব। এর আগে থেকে কিছু বলার নাই। এমনিতে আমরা জানি যে উইন্ডিজ দলে খুব পাওয়ার হিটার আছে, এটার ওপরই ওরা বেশি ফোকাস করে। সেটা নিয়ে আমাদের টিম মিটিংয়ে কথা হয়েছে যেন আমরা আমাদের পরিকল্পনা স্মার্টলি কাজে লাগাতে পারি। এবং ডিসিশন মেকিং অনেক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ হয় সেটা যেন ঠিক মতো করতে পারি সে ব্যাপারে কথা হয়েছে।

 

উইন্ডিজকে হারানোর অভ্যাস ইতিবাচক কিনা

আমরা শেষ সিরিজগুলোয় ওদের সঙ্গে ভাল করেছি। এটা অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে এবং এ ম্যাচটা যদি আমরা জিততে পারি তবে অবশ্যই আমাদের মধ্যে টুর্নামেন্টের জন্য ইতিবাচক মানসিকতা চলে আসবে। 

 

নিজের ব্যাটিং নিয়ে বিশ্বকাপে কি চ্যালেঞ্জ

টি-টোয়েন্টিতে যখন লোয়ার মিডল অর্ারে ব্যাটিং করবেন তখন আসলে দল থেকেও খুব একটা চাওয়া থাকে না। কারণ একের সময় একেক পরিস্থিতি থাকে। যেমন অনেক সময় ৫-৬ বল পাই, তখন ওটাকে যতটুকু কাজে লাগানো যায়। আমার কাছে ফোকাস ওটাই। দল যে জিনিসটা চাচ্ছে সেটা হয়ত শতভাগ করতে পারি নাই। কিন্তু নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস আছে আমি পারি। পরে সুযোগ আসলে আমি অবশ্যই দল যেমন চায় ৫ বলে ১০ বা ১০ বলে ১৫ রান যেটাই চাইবে সেটা যেন করতে পারি, এটাই হবে মূল লক্ষ্য। 

 

ফিল্ডিং এর উপর কতটা নজর দিচ্ছেন?

আসলে সত্যিকার অর্থে ক্রিকেটে ফিল্ডিংটা অনেক বড় একটা পার্ট । ক্যাচ মিস যে কারোই হতে পারে বাট আমার কাছে মনে হয় আমরা টিম ওয়াইজ খুব ভালো মতোই ক্যাচিং প্র্যাল্টিস করতেসি। হয়তো মাঠে ব্যপারটা ভালো মতো হচ্ছে না। আমার কাছে মনে হচ্ছে ক্যাচ মিস যেকোনো কারণেই হতে পারে। বাট সামনে যে ম্যাচগুলো আছে সেখানে যেন সুযোগগুলো শতভাগ কাজে লাগাতে পারি। 

 

শ্রীলঙ্কা ম্যাচের বোলিং থেকে এই ম্যাচে কতটা পরিবর্তন চান

দেখেন আমি যেমনটা বললাম, একেকটা ম্যাচের সিচুয়েশন একেক রকম থাকে। যে জিনিসটা হয়তো শ্রীলঙ্কা ম্যাচে এক রকম ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে আরেকরকম থাকবে। আমাদের যেটা গুরুত্বপূর্ণ হলো যে, বোলিং যদি শুরু করি আমরা ফাস্ট সিক্স ওভার পাওয়ার প্লে'টা ম্যাচের ম্যাচ কোনদিকে যাচ্ছে বা উইকেট কেমন বিহ্যাব করতেছে সেটা বলে দেবে। সেইম জিনিসটা ব্যাটিং এর ক্ষেত্রেও। প্রথম ছয় ওভার খেললে বুঝতে পারব যে এই উইকেটে কত রান হচ্ছে বা আমাদের ব্যাটিং প্ল্যানটা কীভাবে করতে হবে। তো আমার মনে হয় আমাদের সিচুয়েশন অনুযায়ী কোপআপ করাটা জরুরী।

 

বাইরের ঘটনাগুলো চাপে ফেলছে কী না

না এই জিনিসটা কিন্তু নতুন কিছু না। আমরা যখন খারাপ করি তখন আমাদের সমালোচনা সব সময়েই হয়। আমরা ওটা কাম্য করি যে সমালোচনা হয়। আমার মনে হয় গঠনমূলক সমালোচনা হওয়া জরুরী। আর যে জিনিসটা আমরা হয়তো খারাপ করতেসি এটা আমাদের মানতেই হবে। কিন্তু অনেক সময় আমাদের যেটা হয়েছে খারাপ সিচুয়েশনে ছিলাম আবার আমরা ব্যাক করেছি। আমার কাছে মনে হয় এটা আমাদের জন্য ইম্পর্ট্যান্ট আরও যে তিনটা ম্যাচ আছে ওয়ার্লডকাপের, সেখানে যদি ভালো কিছু করতে পারি তাহলে সব পজিটিভ ভাবেই আসবে।

 

Link copied!