বিলুপ্তপ্রায় ১৪ ভাষা,অন্ধকারে আদিবাসী ভাষা সমীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২, ০৩:২৭ এএম

বিলুপ্তপ্রায় ১৪ ভাষা,অন্ধকারে আদিবাসী ভাষা সমীক্ষা

বাংলাদেশে ৫৩ টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে ২৮ টি ভাষা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। আর এরমধ্যে বিলুপ্তের পর্যায়ে রয়েছে ১৪ টি জাতিগোষ্ঠীর ভাষা। এছাড়া বাংলাদেশের সকল নৃগোষ্ঠীর ভাষা নিয়ে গবেষণায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের শুরু করা একমাত্র মৌলিক কাজটির মাঠ পর্যায়ের সমীক্ষা শেষ হওয়ার ছয় বছর পরও আলোর মুখ দেখেনি। 

[youtube-video]https://www.youtube.com/watch?v=v8DGqayJ03c[/youtube-video]

 

সমীক্ষার মেয়াদ বাড়ানোতেই সীমাবদ্ধ

সমীক্ষার কাজ শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় দুই বছরের এ কর্মসূচির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কাজও শেষ হয় ছয় বছর আগে। পরিকল্পনা ছিল, এ সমীক্ষার ১০ খণ্ড বাংলা এবং ১০ খণ্ড ইংরেজি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তার অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটিমাত্র খণ্ড বাংলায় ছাপানোও হয়। তবে এখন পর্যন্ত সেটি বাজারে আসেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন তালুকদার বলেন, কাজটি চলছে ভাষা, গবেষণা ও পরিকল্পনা বিভাগের তদারকিতে।

এক যুগ আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পর একমাত্র মৌলিক কাজ হিসেবে ২০১৪ সালে শুরু হয় ‘বাংলাদেশের নৃভাষাবৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’। এর দুটি অংশ, একটি ভাষা অংশ, অন্যটি সংস্কৃতি।বাংলাদেশের আদিবাসীদের ভাষা গবেষণার জন্য ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি ইনস্টিটিটিউটের পরিচালনা বোর্ডের প্রথম সভায় ‘বাংলাদেশের নৃভাষা-বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ সম্পাদনার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়

২০১৩-২০১৪ ও ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার বাজেট চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল প্রশাসনিক অনুমোদন পায় এ সমীক্ষা। পরে সেবছরের ১ জুন বাস্তবায়ন শুরু হয়। কিন্তু ২০১৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সব কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। এরপর ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ কর্মসূচির মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়।

Link copied!