করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরও ২৩ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এ সংক্রান্ত সুপারিশে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রবিবার (১৬ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলমান বিধিনিষেধ যেভাবে আছে, তার মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত সুপারিশ অনুমোদন করেছেন। আগামীকাল (রবিবার) প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে ঈদ ঘনিয়ে আসার পর থেকে মানুষ যেন স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে ভুলে গেছে। একটি বড় অংশই স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। তাদের নিয়ে আমরা চিন্তিত। মনে হচ্ছে আগামী সপ্তাহে অর্থাৎ তারা বাড়ি থেকে ফিরতে শুরু করলে আবার সংক্রমণ বাড়তে পারে। সেজন্য যেভাবে আছে, আগামী সাত দিন সেভাবেই চলবে।
চিন্তা ভারতের ভ্যারিয়েন্ট
এদিকে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতেই সরকার আরও এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে শপিং মলে ঘুরেছেন, গায়ে গা লাগিয়ে বাড়ি গিয়েছেন, আবার এভাবে ঢাকা ফিরবেন। এতে বড় ধরনের ধাক্কা মোকাবিলা করতে হতে পারে। সে আশঙ্কা থেকেই বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে।
দেশে গত বছরের মার্চে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর সংক্রমণ টানা বাড়তে থাকে। গত বছরের শেষের দিকে সংক্রমণ কমতে থাকে। এর মধ্যেই এ বছরের মার্চ থেকে ফের সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে এপ্রিলে সংক্রমণ-মৃত্যুর সব রেকর্ড ভেঙে যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ৫ এপ্রিল থেকে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে জারি করা হয় কঠোর বিধিনিধে। পরে শপিং মল খোলা রাখা ও জেলার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের মতো কিছু শিথিলতা এনে ১৬ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ বলবৎ রাখা হয়। আগামীকাল রবিবার প্রজ্ঞাপন হলে এই বিধিনিষেধ ২৩ মে পর্যন্ত কার্যকর হবে