করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা একটু কমেছে। রবিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৮ লাখ ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ কোটি করোনা থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৩ কোটির বেশি।
করোনায় মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি, রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময়) সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৮ লাখ ২৯ হাজার ১২৮ জন মারা গেছে। রবিবার গত ২৪ ঘন্টায় ৭ হাজার ৭১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে, গতকাল শনিবার ১০ হাজার ৮৫৪ জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার গত একদিনে ১০ হাজার ৬৫৪ জন মারা যায়।
করোনায় শনাক্ত
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি রবিবার পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪১ কোটি ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫২ জন। রবিবার গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর আগে, গতকাল শনিবার গত ২৪ ঘন্টায় ২৩ লাখ ৩ হাজার ৪০৬ জন এবং তার আগের দিন শুক্রবার ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হন।
করোনা থেকে সুস্থ
ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ি রবিবার পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৩ কোটি ৯ লাখ ২৪ হাজার ৩২১ জন। রবিবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনার সক্রিয় রোগী রয়েছে ৭ কোটি ৪০ লাখ ১৩ হাজার ২০৩ জন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ৮৭ হাজার ৫৫৩ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রবিবাবর গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় মারা গেছেন ৭২৯ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ৩ হাজার ৭৬৩ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ৮৯২ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ২২৮ জন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯ হাজার ৫৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এসময়ে ৮৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৮৭১ জন এবং মারা গেছেন ১২২ জন। ভারতে মারা গেছেন ২৫৭ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ২৮ হাজার ৩৬৬ জন।
যুক্তরাজ্যে ৪৬ হাজার ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এসময়ে মারা গেছেন ১৬৭ জন। ইউক্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ২১২ জন এবং মারা গেছেন ২৬৫ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ হাজার ১৯৩ জন এবং মারা গেছেন ২৭২ জন।
ইতালিতে ৬২ হাজার ২৩১ জন আক্রান্ত ও ২৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১১ জন এবং মারা গেছেন ১৬১ জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করে।