দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আগের দিন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গিয়েছিলেন ৪১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা কমে হয়েছে ২৭। অন্যদিকে, আগের দিনের ৭ হাজার ২৬৪ জনের বিপরীতের গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ২৬৮ জনের শরীরে।
এদিকে, নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হারও কমেছে। আগের দিন এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই হার কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক এবং কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খানের সই করা করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগের দিন (বৃহস্পতিবার) ৪১ জনের মৃত্যু এবং ৭ হাজার ২৬৪ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এর আগের দিন (বুধবার) ৩৩ জনের মৃত্যু হয়; শনাক্ত হন ৮ হাজার ১৬ জন; শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
আরও পড়তে পারেন
দেশে বেড়েই চলেছে করোনায় দৈনিক মৃত্যু
বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৮ লাখ ছড়িয়েছে
করোনায় বোমাং রাজকন্যার মৃত্যু
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।