প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে চ্যালেঞ্জ থাকলেও বাস্তবায়ন সম্ভব বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। বাজেট পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।
দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, পাচার হওয়া টাকায় দেশের মানুষের হক আছে। তিনি বলেছেন, এখন যদি সেই টাকা দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে সেই টাকা দেশে আসবে না। সেই টাকা দেশে না এলে লাভটা কী? শুক্রবার (১০ জুন) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বের অনেক দেশই এরকম টাকা নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দিচ্ছে। ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক দেশই কিন্তু পাচার হয়ে যাওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সুযোগ দিয়েছে। জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নরওয়ের মতো অনেক দেশই এই সুযোগ তাদের নাগরিকদের দিচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রসংগ টেনে মন্ত্রী বলেন, সেখানে ২০১৬ সালে এমন একটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলে। তখন তারা ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশ থেকে নিয়ে এসেছিল। সব টাকা কালো টাকা না। কিছু টাকা বিভিন্ন কারণে কালো টাকা করতে হয়। আমরা বিশ্বাস করি এবার আমরা সফল হবে।
তিনি আরো বলেন, টাকা পাচার করার যেসব অভিযোগ আমরা পেয়েছি সেগুলো বিচারাধীন। মানি লন্ডারিং আইনে অনেকের বিচার হচ্ছে। ফলে সরকার যে অর্থ পাচার নিয়ে নিরুদ্যোগ, তা নয়। তবে আমাদেরও কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। সবকিছু মেনেই কাজ করতে হয়।
তিনি বলেন, টাকার একটা বৈশিষ্ট আছে সেটা যেখানে বেশি রিটার্ন পায় সেখানে চলে যায়। টাকা পাচারের জন্য তারা বিভিন্ন সুযোগ ব্যবহার করে। বিভিন্ন কারণে টাকা চলে যাবে। টাকা পাচার হয়নি সেটা কখনো বলিনি। যারা এ ধরনের কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা আছে, অনেকে জেলে আছে। যে টাকা পাচার হয়েছে সেগুলো দেশের মানুষের হক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী।