ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২, ০৬:৫৩ পিএম
রাশিয়ান বাহিনীর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে যারা প্রস্তুত সেসব নাগরিকদের অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দেওয়ার জন্য এবং রাশিয়ান আগ্রাসন থেকে এর আকাশসীমা রক্ষায় সাহায্য করতে বিশ্বনেতাদের প্রতিও তিনি আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্য রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হামলা।
এই হামলার বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে সবাইকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ারে আহবান জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “যারা দেশের পক্ষে যুদ্ধ করতে আগ্রহী তাদের অস্ত্র দেবে কিয়েভ।”
রাশিয়ানদেরও যুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়ানোর এবং প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে ভলোদিমির জেলেনস্কি আরও বলেন,“রাশিয়ান ফেডারেশনের সবাই, যারা তাদের বিবেক হারাননি, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার এখনই সময়।”
জেলেনস্কি বলেন, “আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল, পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা এবং লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিটানাস নৌসেদার সঙ্গে কথা বলেছি।”
আমরা পুতিনবিরোধী জোট গঠন শুরু করেছি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “ আমি ইতোমধ্যেই বিশ্বনেতাদের রাশিয়ার ওপর সম্ভাব্য সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছি। এছাড়া ইউক্রেনকে বড় ধরনের প্রতিরক্ষা সহায়তা দিতে এবং আক্রমণকারীদের জন্য ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার আহবান জানিয়েছি। একসঙ্গে আমাদেরকে অবশ্যই ইউক্রেনকে বাঁচাতে হবে, গণতান্ত্রিক বিশ্বকে বাঁচাতে হবে এবং আমরা তা করব।”
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উইক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেওয়ার পর ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সৈন্যরা। এতে হামলার প্রথম ঘণ্টায় ইউক্রেনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য এবং ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
ইউক্রেন বলছে, তারা '৫০ জন রাশিয়ান দখলদার সৈন্যকে' হত্যা করেছে। রাশিয়ার স্থল বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে ইউক্রেনে প্রবেশ করার ঘণ্টাখানেক পর এ ঘোষণা আসে।
সূত্র: আলজাজিরা