রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে আগামী ৭ মার্চ এবং ৮ মার্চ দুইদিনব্যাপী গণশুনানী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। তীব্র সমালোচনার মুখে ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে রাশিয়াকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আদেশ দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে বুধবার একটি ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে।
চলমান অবস্থায় রাশিয়ার উপর ক্রমেই বাড়ছে পশ্চিমাদের চাপ। মার্কিন টেকজায়ান্ট এ্যাপল, জ্বালানীখাতের ইনি, এক্সনমোবিল ও বোয়িংসহ বেশ কয়েকটি বৃহৎ কোম্পানী রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানী সংস্থার কাছে মজুদকরা ৬০ মিলিয়ন ব্যারেল (এক ব্যারেল সমান ১৩৪ কেজি তেল) তেল বাজারজাত করার ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও প্রতি ব্যারেল তেলের দাম এখন পর্যন্ত বেড়ে গিয়ে ঠেকেছে ১১০ মার্কিন ডলার। ডেনমার্ক, সুইটজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের তিনটি বৃহৎ শিপিং কর্পোরেশন রাশিয়ার সাথে আর কোন ব্যবসা করবে না বলে জানিয়েছে। চলমান অবস্থায় ইউক্রেনের সহায়তায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থ সহায়তা দিতে যাচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। এরমধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া হবে ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রথম দফা বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে বেলারুশে হতে যাওয়া ইউক্রেন-রাশিয়ার দ্বিতীয় দফা বৈঠকের দিকে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, মন বদলাবেন না তারা। প্রথম দফা বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন আহবান জানালেও শর্তের বেড়াজালে প্রত্যাখান করে মস্কো।
ওদিকে কিয়েভমুখী রাশিয়ার দীর্ঘ ৬৪ কিলোমিটার সৈন্য বহর হঠাৎ থেমে গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় জ্বালানী ও খাবার সংকটের কারণে বহর এক মিটারও আগায়নি। যদিও মঙ্গলবার মস্কোর পক্ষ থেকে ইউক্রেনের নাগরিকদের দ্রুত কিয়েভ ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলা হচ্ছিলো।
এখন পর্যন্ত যুদ্ধে ৫ হাজার ৮৪০ জন রুশ সৈন্যকে হত্যার দাবি করেছে ইউক্রেন। যদিও এ দাবির ব্যাপারে মস্কো কোন মন্তব্য করেনি। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধে ইউক্রেন পক্ষে ১৩ শিশুসহ ২ শতাধিক নিহত হয়েছে। ইউক্রেন থেকে পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৯ লাখ ইউক্রেনিয়ান বাসিন্দা।
আরও পড়তে পারেন- ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে কেন গুরুত্বপূর্ণ বেলারুশ