কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ নয়, বিনীত অনুরোধ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরবর্তী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখেছি যে, একজন সংসদ সদস্যকে কখনই এলাকা ত্যাগ করার আদেশ দেয়নি নির্বাচন কমিশন। আমরা বাহাউদ্দিনকে প্রকাশ্যে প্রচারে অংশ নিতে দেখিনি। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, উনি কৌশলে অংশ নিয়েছেন। আমাদের একটা প্রত্যাশা ছিল উনাকে যদি অনুরোধ করি তাহলে আর কথা উঠবে না।”নির্বাচন কমিশন কাউকে এলাকা ত্যাগ করার আদেশ দিতে পারে না বলেও সিইসি।
আচরণবিধি অনুযায়ী উনি (বাহাউদ্দিন) অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাতে সন্দেহ নেই-উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “ আমরা তাকে এলাকা ত্যাগ করার আদেশ করিনি। তাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করেছিলাম, সেই চিঠি আছে। কিন্তু চারদিকে ছড়িয়ে গেলে আদেশ করার পরও তিনি প্রতিপালন করতে পারলেন না। এ কথা পুরোপুরি সত্য নয়।” সংসদ সদস্য কেন, কোনো সাধারণ মানুষকেও নির্বাচন কমিশন এলাকা ত্যাগ করার আদেশ দিতে পারে না বলেও সাংবাদিকদের জানান সিইসি।
বাহাউদ্দিন কোনো আইন ভঙ্গ করেননি উল্লেখ করে সিইসি আরও বলেন, “অভিযোগ আসছিল তিনি গোপনে প্রচার চালাচ্ছেন। তাই তাকে অনুরোধ করেছি। তবে উনি চলে গেলে হয়তো ভালো হতো।”
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর, ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুসিক নির্বাচনে মাত্র ৩৪৩ ভোটে পরাজিত হন মনিরুল হক সাক্কু। ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই ফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়। শেষ মূহুর্তে একটি ফোনে ভোটের ফল পুরোপুরি পাল্টিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় সাক্কু ও তার সমর্থকদের মধ্য থেকে। এছাড়া নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণাও দেন কুসিক নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক দুবারের মেয়র সাক্কু।