শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা ও রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর স্বামীবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন–আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (২৯), ওয়ায়েজ কুরুনী (২৭), তাওহীদুল ইসলাম (২৬) গাজী সাখাওয়াত (২৯) ও হাবিবুর রহমান (৩০)।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, দুই লাখ টাকা, পোর্টেবল হার্ডডিস্ক ও বিভিন্ন দেশবিরোধী, নাশকতা ও উসকানিমূলক লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “এই চক্রটি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে উসকে দিতে বিভিন্ন সময়ে উসকানিমূলক লিফলেট, ভিডিও ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে ছড়িয়ে দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল।”
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত ও নাশকতায় উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া বর্তমান রাষ্ট্রের উন্নয়নের গতিধারাকে বানচাল ও নস্যাৎ করার জন্য রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন, সরকারের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র, সরকারের সম্পদ ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি, শান্তি প্রিয় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্র করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।”
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “তারা অনলাইনে রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের বাইরে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অংশ হিসেবে তারা দেশের বাইরে বিভিন্ন সংস্থার কাছে কল্পিত এবং বানোয়াট তথ্য প্রেরণ করে।”
শিবিরের বিভিন্ন পেজে গ্রেপ্তারকৃতদের তাদের কর্মী বলে দাবি করে পোস্ট দিচ্ছে বলে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধুমাত্র আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সাবেক শিবিরকর্মী বলে স্বীকার করলেও বাকিরা এ বিষয়ে কিছু বলেনি।