‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ অনুষ্ঠানে ইন্দিরার নাম না নেওয়ায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ক্ষোভ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৭, ২০২১, ০৯:৩৯ এএম

‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ অনুষ্ঠানে ইন্দিরার নাম না নেওয়ায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ক্ষোভ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইন্দিরা গান্ধীর নাম না নেওয়ায় বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের উত্তরাখন্ডের রাজধানী দেরাদুনে ‘বিজয় সম্মান সমাবেশে’ রাহুল গান্ধী বলেন, “ইন্দিরা গান্ধী দেশের জন্য ৩২টি গুলি শরীরে নিয়ে শহীদ হয়েছেন, অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সরকারি অনুষ্ঠানে তার নাম পর্যন্ত উচ্চারিত হলো না!”

https://www.facebook.com/rahulgandhi/videos/614768209766161/

রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও এক টুইটে একই অভিযোগ করে বলেন, “দেশের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাম দেশের নারীবিদ্বেষী সরকার উচ্চারণ করল না। সেটাও বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে। অথচ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পেছনে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য।”

প্রিয়াঙ্কা তার টুইটে সাদাকালো চারটি ছবিও পোস্ট করেন। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে ফুল হাতে আহত জওয়ানকে দেখতে গেছেন ইন্দিরা। অপর একটি বীর সেনানীদের সঙ্গে করমর্দন করছেন। আরেকটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সহাস্যে ইন্দিরা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানীতে বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়। দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে বিজয় মশাল প্রজ্বলিত হয়। এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা খাতায় তিনি লেখেন, “সমগ্র জাতির পক্ষে আমি ১৯৭১ সালের বীর যোদ্ধাদের স্যালুট করছি। শৌর্য ও বীর্যের অতুলনীয় গাথা যাঁরা রচনা করেছেন, সেই বীর যোদ্ধাদের জন্য দেশের নাগরিকেরা গর্বিত।”

এর আগে, গত বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) কংগ্রেস আয়োজিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতে একই কথা বলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও ভারতের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি।।

এ কে অ্যান্টনি বলেন, “১৯৭১–এর যুদ্ধজয় ও স্বাধীন বাংলাদেশের পত্তনের পর অটল বিহারি বাজপেয়ীর মতো নেতা ইন্দিরা গান্ধীকে ‘‘দুর্গা’’ বলে অভিহিত করেছিলেন। অন্য অনেক বিরোধী নেতা ইন্দিরাকে ‘‘শক্তি’’ রূপে বর্ণনা করেছিলেন। অথচ এক বছর ধরে এত অনুষ্ঠানে একবারের জন্যও এই সরকারের কারও মুখ থেকে ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে প্রশস্তিমাখা একটি বাক্য শুনতে পেলাম না!”

ওই অনুষ্ঠানে সোনিয়া গান্ধী, ১৯৭১ সালকে ইন্দিরা গান্ধীর জীবনের সবচেয়ে সেরা বছর বলে অভিহিত করেন।

বৃহস্পতিবার ভারতের সংসদের উভয় কক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতীয় সেনানীদের সাহস ও বীরত্বের উল্লেখ করা হয়।

Link copied!