অনেকেই টেক্সট করে, ফোন করে জানতে চান যারা হৃদরোগসহ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, এ্যালার্জি ইত্যাদি রোগে ভুগছেন তারা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন কি-না। আবার যারা হার্টে স্টেন্ট বা রিং পরিয়েছেন, ওপেনহার্ট সার্জারী করিয়েছেন তাঁরাও ভ্যাকসিন নিতে পারবেন কি-না। ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে কোনো ওষুধ বন্ধ করতে হবে কি-না।
তাদের প্রশ্নের জবাবে বলব, হ্যাঁ টিকা নিতে পারবেন। শুধু পারবেনই নয়, নিতে হবে, অবশ্যই নেবেন। বয়স ১৮ বৎসরের বেশি যে কেউ টিকা নিতে পারবেন। শুধু যারা কোন হঠাৎ চলমান (Acute illness) রোগে যেমন, জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, নতুন হার্ট অ্যাটাক, একিউট কিডনী ফেইল্যুর, একিউট লিভার ফেইল্যুর, নতুন ব্রেন স্ট্রোক, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদিতে ভুগছেন তারা আপাতত টিকা নিবেন না। তবে Acute illness এর ধাক্কা কেটে গেলে টিকা নিয়ে নেবেন। এমনকি গর্ভবতী মা ও টিকা নিতে পারবেন।
যদি টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার সময় খারাপ ধরণের এ্যালার্জি (hypersensitive reaction or anaphylaxis) হয় তাহলে তিনি টিকার ২য় ডোজ নেবেন না। যারা হার্টে রিং(stent) পরিয়েছেন বা বাইপাস সার্জারী করিয়েছেন তাঁদের বরং টিকা নেয়াটা জরুরি। কোন ওষুধ বন্ধ না করেই টিকা নিবেন।
টিকা কোন ভয় বা আতঙ্কের বিষয় নয়। এটা বিজ্ঞানের আশীর্বাদ । এত অল্প সময়ে করোনার টিকা আবিষ্কার বিজ্ঞানের এক অসাধারণ অবদান। আমাদের কৃতজ্ঞচিত্তে এটি গ্রহণ করা উচিত।
আপনি একা টিকা নিলে লাভ হবে না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে টিকা নিন। জনসংখ্যার ৭০/৮০ ভাগ মানুষ টিকা না নিলে করোনা আমাদের মাঝে ঘুরতেই থাকবে। অতএব, সবার স্বার্থে টিকা নিন, অন্যকে উৎসাহিত করুন।
অনেকে জিগ্যেস করেন যে, আমি টিকা নিয়েছি কিনা। হ্যাঁ আমিও টিকা নিয়েছি। কোনো অসুবিধা হয়নি, ভালো আছি। আপনিও ভালো থাকুন।
বিনামূল্যে দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।