অধিনায়কের ব্যাটিং নিয়ে হয়েছে সমালোচনা। সেই তিনি শেষ ওভারে বল করতে এসে করলেন বাজিমাত। তবে শেষ ওভারের হ্যাটট্রিকের চান্স ছিল। তারপরও ৩ উইকেট নিলেন। শেষ বলে চেষ্টার শেষটুকু দিয়েও হলো না। বাংলাদেশ ৫ উইকেটে হেরে গেল। পাকিস্তান ৩-০ তে সিরিজ নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১২৪ রান তোলে। জবাবে পাকিস্তান ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ফেলে (১২৭/৫ )।
শেষ ওভারে ৮ রান দরকার ছিল। সবাইকে চমকে দিয়ে পুরো ম্যাচে বল না করা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আসলেন বোলিং করতে। প্রথম বল সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ
হলেন সরফরাজ। পরের বল তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন তিনি। হায়দার আলি তৃতীয় বলটি লঙ অনে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন শান্তকে। ২ বলে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন রিয়াদ। ৩ বলে পাকিস্তান তো রানই করতে পারেনি তারওপর ২ উইকেট নেই। কিন্তু ইফতেখার চতুর্থ বলটি স্ট্রেটে ছক্কায় পরিণত করেন। ৯০ মিটারের ছক্কা। পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহ আউট করেন ইফতেখারকে। এক ওভারে ৩ উইকেট অধিনায়কের। শেষ বলে দরকার ২ রান। নাটক তখনো বাকি।
মাহমুদউল্লাহ দেখলেন নেওয়াজ স্ট্রাইকে। স্ট্যাম্পের পেছন থেকে বল করেন তিনি। নেওয়ার বুঝতে পেরে সরে যান। স্ট্যাম্প ভেঙে যায়। আম্পায়ার ডেড বল ঘোষণা করেন। যদিও নেওয়াজ ব্যাটিং স্ট্যান্সে ছিলেন। আউট কিনা সেটা নিয়ে বিতর্ক হবে কিন্তু রিয়াদ মেনে নেন সেটা। ৬ষ্ঠ বলটি করতে গিয়ে রিয়াদ আবার ধোঁকা দেন। পুরো গ্যালারিতে তখন টান টান উত্তেজনা। কিন্তু নেওয়া ৬ষ্ঠ বলটি চারে পরিণত করলেন। শেষে এসে পারল না বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের স্কোর ছোট ছিল। তাই চাপ নেয়নি পাকিস্তান। ওপেনার রিজওয়ান ৪৩ বলে ৪০ ও হায়দার আলি ৩৮ বলে ৪৫ রান করেছেন। মাহমুদউল্লাহ ১ ওভারে ১০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে হতাশ করেছে আবার। নাইম ৫০ বলে ৪৭ রান করেন। এছাড়া শামীম ২২, আফিফ ২০ ও রিয়াদ ১৩ রান করেছেন। উসমান কাদির ও ওয়াসিম ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
আগামীকাল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দল চট্টগ্রাম যাবে। ২৬ নভেম্বর সেখানে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে।