মানুষের জ্ঞানের উৎকর্ষ আরও একবার উচ্চকিত হলো। এবার বিজ্ঞানীরা গবেষণার হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখলেন সূর্যকে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সৌরতদন্ত যান ‘পার্কার’ এবার সূর্যের উপরিস্তর ‘কোরোনা’কে ছুঁয়ে এসেছে। নিয়ে এসেছে সেখানকার নমুনাও।
মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। এই প্রথম পৃথিবীর কোনও মহাকাশযান স্পর্শ করলো সূর্যকে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই ঘোষণা দিয়েছে।
সূর্যের বহিরাবরণ, ‘কোরোনা’ ভেদ করে সূর্যের ভিতরে প্রবেশ করেছে নাসার সৌরতদন্ত যান ‘পার্কার’। এই ‘কোরোনা’ সূর্যের বাইরের স্তর। সূর্যের মূল কাঠামো থেকে এই স্তরের একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব আছে।
তবে এই এলাকার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রবল। চৌম্বক ক্ষমতাও তীব্র। এতটাই ক্ষমতা ওই দুই শক্তির, যে তা সৌরপদার্থকে ওই বহিরাবরণ পেরিয়ে বার হতে দেয় না। নিরাপদে থাকে সৌরজগতের গ্রহ-উপগ্রহ।
পার্কার সেই চত্বরে প্রবেশ করেছে। শুধু তা-ই নয়, সেখান থেকে সৌরপদার্থের নমুনা প্লাজমাও সংগ্রহ করেছে পার্কার।
২০১৮ সালে পৃথিবী থেকে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল পার্কার। এর আগে, বেশ কয়েক বার সূর্যের কাছাকাছিও পৌঁছেছে।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এসব নমুনা পরীক্ষানিরীক্ষা করে শুধু সূর্য নয়, ছায়াপথের অন্য নক্ষত্রকেও চেনা যাবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। তবে নাসার এই সৌরতদন্তের সরাসরি উপকার পাবে ভারতের মতো উপগ্রহ নির্ভর দেশগুলি।
একই সঙ্গে সূর্য কী ভাবে পৃথিবী বা অন্য গ্রহের বিবর্তনে সাহায্য করেছে, কী ভাবে সূর্য নিজে তৈরি হয়েছে, পার্কারের এই সফল অভিযানে তা-ও জানার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছে নাসা।