মানবদেহে ট্রায়াল সফল হলে ২০২২ সালের মাঝামাঝি বাজারে আসতে পারে বাংলাদেশের তৈরী করোনা টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’। টিকা নেননি এবং করোনাও আক্রান্ত হননি এমন ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৬০ জনের ওপর হবে বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ট্রায়াল।
১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক যারা দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগে ভুগছেন না বা এখনো করোনার টিকা নেননি প্রথম ধাপে তাদের ওপর ট্রায়াল চালানো হবে। প্রথম ধাপে ভ্যাকসিনটির সফল প্রয়োগ হলে আরও দুটি ধাপের ট্রায়াল পরে চালানো হবে। সাফল্য পেলে আগামী বছরের মাঝামাঝি বাজারে আসতে পারে বঙ্গভ্যাক্স।
টিকাটির উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের হয়ে ক্ল্যানিক্যাল ট্রায়াল করছে সিআরও বাংলাদেশ। এরইমধ্যে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা কাউন্সিলের (বিএমআরসি) অনুমোদন পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের দাবি বানরের দেহে ট্রায়েলে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অ্যান্টিবডির প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
সেক্ষেত্রে এবারের অপেক্ষা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের রেগুলেটারি অনুমোদনের। সে জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শিগগিরই জমা হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
এ প্রসঙ্গে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাম স্বপ্নীল বলেন, আমরা কাগজপত্র জমা দিলেই তারা আমাদের অনুমতি দিয়ে দেবে। তখনই আমরা ট্রায়ালে চলে যাব।
নিয়ম অনুসারে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের আগে তিন ধাপে দিতে হবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। ফলাফলের ভিত্তিতে অনুমোদন সাপেক্ষে বাকি ধাপ।
তিন ধাপেই ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের মাঝামাঝি মিলবে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স।