মার্চ ১৯, ২০২২, ০৯:৪০ পিএম
ইউক্রেনের ওলিভিয়া বন্দরে বাংলাদেশী জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে গত ২ মার্চ। ওই ঘটনায় জাহাজটির বীমাকারীর কাছ থেকে ২২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে ঢাকা। কিয়েভ-মস্কোর সংঘাত শুরুর পর এটিই বড় সামুদ্রিক বীমা চাওয়ার ঘটনা।
এমভি বাংলার সমৃদ্ধি, ফাইল ছবি
ইউকে ডট নিউজ ডট ইয়াহু ডটকম জানায়, ২ মার্চ রাতে বিস্ফোরণে বাংলাদেশের পতাকাবাহী বাংলার সমৃদ্ধি কেঁপে ওঠে, তাতে থাকা এক ক্রু নিহত হন। জাহাজটিতে থাকা বাকি ২৮ ক্রুকে রোমানিয়া হয়ে দেশে ফেরানো হয়। এই জাহাজের যুদ্ধ ঝুঁকি কভার করতে ঢাকার সাধারন বীমা কর্পোরেশন এবং লন্ডনের ব্রোকার টাইজারসের দ্বারা পুনঃবীমা করা হয়।
ঢাকার সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সূত্রমতে, সাধারণ বীমায় এক্সপোজার ছিল ১০ শতাংশ, বাকি ৯০ শতাংশ টাইজারসের। তবে বীমা কোম্পানির কাছে দাবি জানানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত টাইজারসের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর সুমন মাহমুদ সাব্বির বলেছেন, বীমার দাবি মেটাতে সময় লাগবে।
এমভি বাংলার সমৃদ্ধি, ফাইল ছবি
নরওয়েজিয়ান জাহাজ বীমাকারী স্কাল্ডের প্রেসিডেন্ট স্টেল হ্যানসেন রয়টার্সকে বলেন, জাহাজটির ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অঞ্চলটি দিয়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বীমার প্রিমিয়াম ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আগামীতে খরচ আরো বেড়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন বীমাকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ রাশিয়ার একটি ক্ষেপনাস্ত্র জাহাজটিতে আঘাত হানলে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হন। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় হাদিসুরের মরদেহসহ জীবিত ২৮ জনকে ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। পরবর্তীতে রোমানিয়া হয়ে বাংলার সমৃদ্ধির বাকি নাবিকরা ৯ মার্চ টার্কিস এয়ারলাইন্সের টিকে-৭২২ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান।