পাবনার রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বসতে চলেছে প্রথম ইউনিটের মূল যন্ত্র রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার(১০ অক্টোবর) সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বহুল প্রতীক্ষিত এই পারমাণবিক চুল্লি বসানো উদ্বোধন করবেন।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন ও ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রূপপুর প্রকল্পটি নির্মিত হচ্ছে রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায়। চুল্লি স্থাপনের আগে রুশ পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক এলেক্সি লিখাচেভ গণমাধ্যমে বলেন, বিজ্ঞান নিয়ে বছরের পর বছর রাশিয়া যে উৎকর্ষতা অর্জন করেছে, সেই অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান রূপপুরে প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কিছু ব্যবস্থাপনা রূপপুর প্রকল্পকে করেছে সবচেয়ে নিরাপদ।
রুপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ণ করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। প্রকল্প পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর বলেন, ইউনিট-১’র ভৌত কাঠামোর ভেতরে রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন সম্পন্ন হবে। এর ফলে এই ইউনিটের রিয়াক্টর ভবনের ভেতরের কাজ প্রায় শেষ হবে।
যা যা বসবে
প্রকল্প এলাকায় গোলাকৃতি যে দুটি ভবন দেখা যায় সেগুলোই রিয়াক্টর ভবন। এদের মধ্যে একটিতে কাল (১০ অক্টোবর) বসানো হবে রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র। এটিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হার্ট বা হৃদপিণ্ড বলা যেতে পারে। এই ভবনের বিভিন্ন ধাপে বসানো হয়েছে নিউক্লিয়ার যন্ত্রপাতি। পাঁচ ধরনের যন্ত্রের মধ্যে ইতিমধ্যে প্রেসারাইজার, কুল্যান্ট পাম্প এবং হাইড্রো এক্যুমুলেটর বসানো সম্পন্ন হয়েছে। রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের পরপরই আগামী নভেম্বরে স্থাপন করা হবে স্টিম জেনারেটর।
স্টিম জেনারেটরের মাধ্যমে প্রথম ইউনিটে সব ধরনের নিউক্লিয়ার যন্ত্রপাতি বসানো শেষ হবে। প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, প্রতিটি যন্ত্র সর্বোচ্চ পরীক্ষা নিরীক্ষার ধাপ পেরিয়ে নকশা অনুযায়ী বসানো হচ্ছে। এ জন্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সনদ নিতে হয়েছে। কাজের মান দেখে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।