কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএনের সাথে সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে; এতে এক নারী ও পুরুষ নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে একজনকে। নিহতরা হলেন: ক্যাম্পের নুরুল ইসলামের স্ত্রী নূর হাবা (৫০) এবং ক্যাম্পের বশির আহমদের ছেলে মো. হাসিম (৩২)।
পুলিশের দাবি, হাসিম সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য এবং তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড, মাদক ব্যবসা, অপহরণ, চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আরসা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নূর হাবা নিহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, গোলাগুলির সময় আটক ওই ক্যাম্পের নুরুল হাকিমের ছেলে সাদেক (৩১) আরসার সদস্য।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ১৮ নম্বর ক্যাম্পের ১৭ নম্বর ব্লকের মসজিদের পাশের পাহাড়ে ওই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে এপিবিএনের ৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. ফারুক আহমেদ জানান।
এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, দুপুরে মসজিদের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী লালুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে এমন খবর পাওয়া যায়। তখন পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি শুরু করে। তখন গুলিতে নূর হাবা নিহত হন। পুলিশও তখন আত্মরক্ষা ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষার্থে গুলি চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে শুরু করে। তখন অস্ত্রসহ সাদেককে আটক করা হয়। পরে সেখান থেকে হাসিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এপিবিএন কর্মকর্তা জানান, মরদেহ দুটি এবং আটক ব্যক্তিকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১১ এপ্রিল উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলিতে আরসার কমান্ডার আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়া নিহত হন। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরসার তিনজনকে।