দেশে প্রথমবারের মতো মায়ের কিডনি কন্যার দেহে প্রতিস্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ১৭, ২০২৩, ০৫:০৪ পিএম

দেশে প্রথমবারের মতো মায়ের কিডনি কন্যার দেহে প্রতিস্থাপন

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের  চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এই প্রথম বারের মতো মায়ের দান করা কিডনি তার মেয়ের দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। রাজধানীর শাহবাগে শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে এই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।

বৃহস্পতিবার ( ১৭ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে  সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলায় অঅয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। কিডনি দাতা ও গ্রহীতার ছাড়পত্র প্রদান উপলক্ষ্যে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে কিডনি গ্রহীতা ও দাতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা এবং কেক কেটে বিদায় জানানো হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের হাতে ওষুধও তুলে দেন উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

চিকিৎসার জন্য রোগী যাতে দেশের বাইরে না যায় তার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল কাজ করছে উল্লেখ করে  অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “ দেশের মানুষ ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিশেষ করে কিডনি, লিভার, কর্নিয়া ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বিদেশে যায়।, ইনফার্টিলি, জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট, আর্থোস্কপিক, স্টেমসেল থেরাপি, রোবটিক সার্জারি, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার প্রয়োজনেও অনেকে বিদেশ যায়। আমরা এসব চিকিৎসা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে শুরু করতে চাই। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”

অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আজকে আমাদের অন্যরকম একটি দিন। আমাদের সামনে কিডনি দাতা মা ও কিডনি গ্রহীতা মেয়ে হাসিমুখে বসে আছেন। এমন হাসিমাখা মুখ সব রোগীর ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই।”

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ফেইলর হয়ে অসুস্থ ছিলেন ফরিদপুরের ১৭ বছরের কিশোরী শ্রাবণী। তাকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দান করতে সমবমত হন শ্রাবণীর ৪৫ বছর বয়সী মা। পরে  কিডনি দাতা ও গ্রহীতার সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের  ১ আগস্ট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। কিডনি প্রতিস্থাপনে নেতৃত্ব দেন বিএসএমএমইউ’র ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। 

কিডনি প্রতিস্থাপনে তাঁকে সহায়তা করেন এঅ্যানেসথেশিয়া বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ডা. দেবব্রত বনিক, বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বনিক, শিশু কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম, ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইউনিটের অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মো. সাইফুল হোসেন দিপুসহ ৩১ জন চিকিৎসক।  

Link copied!