সিলেটে অবৈধভাবে লুট করা বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার করেছে প্রশাসন। বাড়িঘর ও ক্রাশার মিলে লুকিয়ে রাখা এসব পাথর উদ্ধার করা হয় চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সাদাপাথর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর মাটির নিচে চাপা ও বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে উদ্ধারকৃত পাথর ধলাই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি সাদাপাথর ও আশপাশের এলাকা থেকে ব্যাপক হারে পাথর লুট হয়েছে। রাতের আঁধারে ট্রাক ও নৌকায় এসব পাথর পাচার করা হতো। স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এভাবে চলতে থাকলে সাদাপাথরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংস হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, “অনেক দিন ধরে দেখছি রাতের অন্ধকারে এখানে ট্রাক আর নৌকায় পাথর পাচার হয়। এভাবে চলতে থাকলে সাদাপাথরের সৌন্দর্য একদিন নষ্ট হয়ে যাবে। প্রশাসনের এই উদ্যোগ আমরা স্বাগত জানাই, তবে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরও আইনের আওতায় আনা দরকার।”
অভিযান চলাকালে সদর উপজেলার বিভিন্ন ক্রাশার মিল ও প্রায় ২০–২৫টি বাড়ি থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পাথর উদ্ধার করা হয়।
সিলেট সদর উপজেলার ইউএনও খোশনূর রুবাইয়াত গণমাধ্যমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা ক্রাশার মিল থেকে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছি। এছাড়া ২০–২৫টি বাড়ি থেকেও বিপুল পাথর পাওয়া গেছে। যারা এই লুটপাটের সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। অবৈধভাবে লুট হওয়া প্রাকৃতিক সম্পদ উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”