আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি গাজীপুরে।
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে হত্যা, আশুলিয়ায় ৭১ টেলিভিশনের প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম অনিককে হত্যাচেষ্টাসহ সারা দেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সাংবাদিকরা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে আশুলিয়া থানার প্রধান ফটকের সামনে সাভার উপজেলা সাংবাদিক সমিতি ও আশুলিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এম আব্দুল হান্নান মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে যারা হত্যা করেছে, আশুলিয়ায় জাহিদুল ইসলাম অনিকের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তারা সমাজের শত্রু। সাংবাদিকরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করেন, আর সেই সত্য প্রকাশ করলেই তাদের হত্যা এবং এমন বর্বর হামলা চালানো হয়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। আমরা দোষীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবী জানাই।
বক্তারা আরও বলেন, গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অনিকের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে সাংবাদিকদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তা বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের সংস্কৃতি আমরা আর দেখতে চাই না। যদি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হয়, তাহলে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না।
এ জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের আরো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সংহতি প্রকাশ করে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এম আব্দুল হান্নান বলেন, আমরা সংবাদ কর্মীদের পাশে সবসময় রয়েছি। সবসময় পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি। তারাই আমাদের ভাই। সাংবাদিক পুলিশ সবসময় এক সাথে পথ চলতে হয়। তবে আমাদের অন্যায় কিছু পেলে আমাদের সাথে সাথে ধরিয়ে দিবেন। সাংবাদিকদের ওপর হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আশা করি দ্রুত চার্জশিট দিয়ে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
সাভার উপজেলা সাংবাদিক সমিতির আহবায়ক সোহেল রানা বলেন, আমরা সবার কথা বলি। অথচ আমাদের কথা বলার কেউ নেই। এরপরও
আমাদের দুর্বল ভাববেন না। সাংবাদিক সমাজ জেগে উঠলে হত্যাকারী, নির্যাতনকারী, হামলাকারীরা টিকে থাকতে পারবেন না।
তিনি, আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যাকারীদের, এবং অনিকের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে। সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিতে হবে। সাংবাদিকদের রক্ত আমরা আর বৃথা যেতে দেব না।
আশুলিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এইচ এম সৌরভ বলেন, অনিকের ওপর হামলা, আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি সাংবাদিক সমাজকে স্তব্ধ করে দেওয়ার একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
বিক্ষোপ কর্মসূচিতে উপস্থিত দ্যা রিপোর্ট লাইভ এর সাংবাদিক রুমন জোয়ার্দ্দার জনি বলেন আমরা প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত এবং নির্যাতিত হচ্ছি আজ আমরা যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি নিজেদের অঅস্তিত্ব রক্ষায় এক সংকটাপন্ন পরিস্থিতি এসেছি ইতিপূর্বে বারবার সাংবাদিক হত্যা গুম খুন হয়েছে এবং হচ্ছে তার কোন সঠিক বিচার রাষ্ট্র করেনি আজ অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে বলতে হচ্ছে আমরা কি সত্যি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নিয়ে কাজ করি এটা নিয়ে আমার নিজের কাছে দিধাদন্দে মধ্যে আছি, কারণ রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভনিয়ে যদি কাজ করি তাহলে রাষ্ট্র কি আমাদের সেই নিরাপত্তা দিচ্ছেন?
তাই আমি আজকের এই কর্মসূচির মধ্যে বলতে চাই সাংবাদিক নিরাপত্তার একটি দৃষ্টান্ত মূলক চিত্র তুলে ধরবে এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের চর্চার সুযোগ করবে বলে আশা করছি।